মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: [২] প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ও নানা সমস্যার কারণে পথে বসতে শুরু করেছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ডেইরী খামারিরা। এতে করে ব্যাপক লোকসানে পড়ছেন অনেক খামারি।
[৩] উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দা খামারি মো. আলম মিয়া জানান তার খামারে ৬৫ টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় ৩০০ লিটার দুধ হয়। প্রতিদিন খামারে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। এ অবস্থার মধ্যে নালি, কুড়া, ভূসি (গো খাদ্য) দাম বেড়েই চলছে।
[৪] তাল মিরিয়ে একই সঙ্গে খামারি মো. আনোয়ার বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ডেইরী খামারের সাথে জড়িত। কখনো লোকসানের মুখ দেখেনি। এখনকার পরিস্থিতিতে হাট বাজার বন্ধ দুধ কেনার মানুষ নেই। হঠাৎ কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে আমার ৪ টি গরু মারা গেছে যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ডাক্তার আসেনা।
[৫] এছাড়াও বেশ কয়েকজন ডেইরী খামারির সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে নিজেদের জীবন বেঁচে থাকা ও গরুর প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে রয়েছি।
[৬] উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় তালিকাভুক্ত প্রায় ৫৩ জন ডেইরী খামারি আছেন। সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতিদিন খামারিদের নগদ আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লাখ টাকা। তবে এই ক্ষতি দীর্ঘায়িত হতে থাকলে আশংকা রয়েছে খুব দ্রুতই গভীর সংকটের মধ্যে পড়বে এই শিল্প।
[৭] শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুদ্দিন উদ্দিন সুজন বলেন, মির্জাপুরের ডেইরী খামারিদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সঠিক। উপজেলার অধিকাংশ গরুর খামারির সাথে তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি সরকার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :