শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৮:৩৫ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ০৮:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিকিৎসক-নার্সসহ জরুরি সেবাদানকারীদের বের করে দিলে ডিএনসিসির সেবা পাবেন না বাড়িওয়ালারা : মেয়র আতিক

প্রথম আলো : যেসব বাড়িওয়ালা ডাক্তার, নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীকে বাসা থেকে বের করে দেবেন, তাঁদের কোনো ধরনের সেবা দেবে না ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘যেসব ডাক্তার, নার্স, যাঁরা আমাদের সেবা দেন, তাঁদের যদি বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে সেই সব বাসাবাড়ির মালিককে সিটি করপোরেশন কোনো ধরনের সার্ভিস দেবে না।’

করোনাভাইরাসের বিস্তার ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, যাঁরা বাসা থেকে লোক বের করে দিচ্ছেন, সেসব বাসাবাড়িতে সিটি করপোরেশনের কোনো ধরনের সার্ভিস আমরা দেব না। ডাক্তার, নার্স এবং যেসব কর্মী ত্রাণের কার্যক্রমের সঙ্গে আছেন, প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন, কাজে ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তাঁদের যেসব বাড়িওয়ালা বা অন্য ব্যক্তিরা সহযোগিতা করবেন না, এটা কিন্তু হবে না।

আমি যদি অভিযোগ (কমপ্লেইন) পাই, ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্লিয়ার মেসেজ, তাঁদের আমরা সকল ধরনের সিটি সার্ভিস থেকে বঞ্চিত করব এবং সেই বাড়িতে যদি কোনো ময়লা থাকে, আমার সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মী বা স্টাফ সেই বাড়িতে যাবেন না সেই ময়লা নেওয়ার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে আমি অনুরোধ করব, ঢাকার বিদ্যুৎ বিভাগ, ডেসকো, ওয়াসা যেন সেসব বাড়ির পানির লাইন এবং ইলেকট্রিক লাইন বন্ধ করে দেয়। যাঁরা মানবতার পেশায় আছেন, যাঁরা আমাদের রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা করছেন, তাঁদের সঙ্গে এ কেমন আচরণ। এটা কী ধরনের মানবতা।’

দেশের এই ক্রান্তিকালে জরুরি সেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘ডাক্তারদের পাশাপাশি পুলিশ ভাইয়েরাও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মাঠে সেবা দিচ্ছেন আর্মির সদস্রা, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যাঁরা বিত্তবান আছেন, তাঁদের আমি অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের মতো সাহায্য-সহযোগিতা করেন। অনেক পরিবার কিন্তু মুখ খুলে চাইতেও পারছেন না।’

মেয়র বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, করোনার এই ধরনের সমস্যা কিন্তু আমরা কোনো দিন মোকাবিলা করিনি। আমি দেখিনি, আমার বাবা-দাদারাও দেখেনি। আমরা সাংঘাতিক একটা হুমকির মধ্যে আছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন একটা হটলাইন চালু করেছে। যদি কোনো ডাক্তার কিংবা নার্স সেবা দিতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েন, আমাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যে হটলাইন আছে, সেই হটলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ জানান। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আপনার পাশে আছে। পাশে থাকব আমরা। যেকোনো সমস্যা হলে আমাদের হটলাইনে আমাদের জানাতে পারেন অথবা আমার মোবাইল ফোনেও আপনার সমস্যা জানাতে পারেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আপনাদের পাশে থাকার।’

ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের যেসব সরকারি হাসপাতাল আছে, সেগুলোর যেকোনো ধরনের সমস্যার কথা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেন মেয়র আতিকুল।

মেয়র বলেন, ‘আমাদের কুর্মিটোলা হাসপাতাল আছে, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল আছে। প্রথম অবস্থায় কিছুটা অব্যবস্থাপনা ছিল। এখন কিন্তু ভালো আছে। কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন পরিচালক আছেন, যিনি ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালেও একজন ব্রিগেডিয়ারকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আমাদের সিটি করপোরেশনকে বলা হোক। কুর্মিটোলা হাসপাতাল বলেছিল, তাদের স্প্রে মেশিন নেই। আমি সঙ্গে সঙ্গে মেশিন সরবরাহের ব্যবস্থা করেছি। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি কোনো ধরনের সমস্যা হয়, আপনারা আমাদের জানান। অবশ্যই আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’

বাসায় বাসায় গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০০টি করে প্যাকেট দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে ৩ লাখ কেজি চাল আমরা সরকারের কাছ থেকে পেয়েছি। ২০ লাখ টাকার ত্রাণ পেয়েছি। বিভিন্ন কাউন্সিলরের মাধ্যমে বাসায় বাসায় ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপর আমরা যে ত্রাণ পাব, তা বস্তিবাসীকে দেয়া হবে। কার্ড সিস্টেম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের কাউন্সিলদের নির্দেশ দিয়েছি, সিটি করপোরেশনের একটা হটলাইন চালু করা আছে, বিশেষ করে যাঁরা রিলিফ নিতে আসবেন না, তাঁরা ফোন করলে তাঁদের ঘরে রিলিফ পৌঁছে দেয়ার জন্য।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়