সালেহ্ বিপ্লব : [২] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর পর ধীরে ধীরে করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে শুরু করবে। যে রাজ্যগুলো আগেই লকডাউনে গিয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে ভালো, এমনই বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে। এনডিটিভি
[৩] রাজস্থান, পাঞ্জাব ও বিহার সবার আগে লকডাউনের ঘোষণা দেয়। ফলে এই তিন রাজ্য কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছে। আর সে সময় আংশিক লকডাউনে যাওয়া উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের সাফল্য ওই তিন রাজ্যের চেয়ে তুলনামূলক কম।
[৪] একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করবে স্পেশাল টিম। এই টিম শুধু কোভিড-১৯ নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগেরও পরীক্ষা করবে।
[৫] বুধবার সরকারের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ৬ মেট্রোসিটিসহ দেশটির ১২৩ জেলাকে করোনার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সারাদেশে মোট ১৭০টি জেলা হটস্পট, তালিকায় রয়েছে আরো ২০৭।
[৬] এর আগে ভারতের নেতৃস্থানীয় জনস্বাস্থ্য পরামর্শক ও মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কে সুরেশ এক সাক্ষাতকারে সানডে গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন, ২০ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে থাকবে। আক্রান্তের সংখ্যা এখনকার চেয়ে তিন/চার গুণ বাড়বে। সে হিসেবে নতুন করে আরো ৩০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হবে।
[৭] দেশটির পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের লাইফটাইম এপিডেমিলোজির অধ্যাপক গিরিধির বাবু বলেন, যথাসময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কারণে ভারতে করোনার বিস্তৃতি অনেক কম হয়েছে। তা না হলে এরই মধ্যে আক্রান্তের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যেতো।
আপনার মতামত লিখুন :