লাইজুল ইসলাম : [২] বেশ কয়েকটি হোটেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে যদি নির্দেশনা পায় তবে অবশ্যই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তারা।
[৩] অধিদপ্তরের প্রস্তাবনা অনুযায়ী মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকদের থাকার কথা শ্যামলী আবাসিক হোটেলে। যদিও এ ব্যাপারে কিছুই জানে না হোটেল কর্তৃপক্ষ। শ্যামলী হোটেলের মালিক মুসা বলেন, আমাদের সঙ্গে দুই দিন কথা হয়েছিলো। গত সপ্তাহের দিকে। এরপর আমাদের সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি।
[৪] রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল ও মহানাগর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারদের থাকার জন্য প্রস্তাবনায় আছে ৬টি হোটেল। এরমধ্যে শালিমার ইন্টারন্যাশনাল তালাবদ্ধ। আর ৩টি হোটেল কর্তৃপক্ষ কিছু জানে না।
[৫] সার্কেল ইন হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার রায়হান মর্তুজা বলেন, সরকারি কোনো লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কোনো লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। দেশের মানুষের জন্য আমরা কাজ করবো। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
[৬] আপনাদের ব্যবস্থা করতে বলা হলে পারবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়হান মর্তুজা বলেন, আমাদের বেশ কিছু লিমিটেশন আছে। করোনার কারণে আমরা হোটেল স্টাফদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি। তবে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। দেশের সার্থে আমরা কাজ করবো। কিন্তু আমাদের লিমিটেশন নিয়ে যে কারো সঙ্গে কথা বলবো এমন কাউকে এখনো পাইনি।
[৭] হোটেল গ্যান্ড প্রিন্স হোটেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জেড হাসান বলেন, করোনা ও নিজেদের সেফটি সিকিউরিটির কথা ভেবে হোটেল বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু এই সমস্যার কারণে আমাদের সব স্টাফ ফেরত না আনতে পারলেও কিছু নিয়ে আসবো। যারা আসবে তাদের দিয়েই সার্ভিস চালিয়ে যাবে।
[৮] জেড হাসান বলেন, হোটেলে ৮৫টি রুম আছে। এগুলোর মধ্যে ৭০টি ব্যবহার করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আমরা জানিয়েছি তারা বলেছে ৩০টি প্রস্তুত রাখতে। আমরা প্রস্তুত আছি। চিকিৎসকদের জন্য আলাদা লিফট ও সিড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৯] এদিকে মিরপুরের হোটেল ড্রিমল্যান্ড লকডাউনের শুরু থেকেই বন্ধ আছে। তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :