সাইদ রিপন : [২] খাবারের অভাবে কেউ যেন কষ্ট না করে সেদিকে সরকারের নজর দিতে হবে। খাদ্য সহায়তা বা ত্রাণ বিতরণে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর যদি ক্ষুদ্র অংশও বাদ পরে তাহলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। আর তখনই এটা বিপদ ডেকে আনবে তারা। কারণ ক্ষুধার জ্বালায় কেউ করোনার ঝুঁকিকে ভয় পাবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের পরামর্শক ও অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
[৩] তিনি বলেন, আমার মতে দেশে বর্তমানে ৪ থেকে ৫ কোটি মানুষ একেবারে হতদরিদ্র অথবা ক্ষুধার ঝুঁকিতে আছে। আর মাত্র তিন মাস পরে বাজেট। তাই বাজেটকে সামনে রেখে একবারে কর্মসূচি নিতে পারলেই ভালো হবে। এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। তাই একসঙ্গে চার মাসের জন্য প্রস্তাব করতে হবে। যদি ৪ কোটি মানুষকে চার মাসের জন্য দেয়া হয় তাহলে জিডিপির মাত্র এক দশমিক দুই শতাংশ লাগবে। এটা আরও বাড়ানো যেতে পারে ডিজিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ যদি করা হয় তাহলে হয়তো ১০ কোটি মানুষকে দেয়া যাবে।
[৪] ড. জাহিদ আরও বলেন, মানবতার খাতিরে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সহায়তা দিচ্ছেন তা নয়। ঝুঁকির সম্মুখিন থাকা সবাইকে সহায়তার আওতায়ন আনতে না পারলে লকডাউন, সেফটি, সচেতনতা এগুলোর সুফল পাওয়া যাবে না।
[৫] এর আগে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১ কোটি ৯০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে আট হাজার টাকা করে দুই মাস প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সিপিডির এ সুপারিশের প্রেক্ষিতেই এসব কথা বলেন ড. জাহিদ হোসেন। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :