জাগো নিউজ : [২] করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার সুফল পাচ্ছে পর্তুগালের জনগণ। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সেখানে সংক্রমণের হার অনেক কম। এছাড়া লকডাউনের বিধিনিষেধও কিছুটা শিথিল করেছে দেশটির সরকার।
[৩] বুধবার পর্তুগিজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আন্তোনিও সেলস জানান, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯১ জন, মারা গেছেন ৫৯৯ জন; যা প্রতিবেশী স্পেনের তুলনায় অনেক কম। স্পেনে শুধু মারাই গেছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ, আক্রান্ত এক লাখের ওপর। তাছাড়া পর্তুগালে করোনায় মৃত্যুহারও প্রতিবেশীদের তুলনায় যথেষ্ট কম, প্রতি লাখে মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
[৪] পর্তুগিজ এ মন্ত্রী জানান, গত ১৮ মার্চ দেশটিতে লকডাউন নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে জনগণের দারুণ ব্যবহার ও নিয়মানুবর্তিতার কারণে এ নির্দেশনা কিছুটা শিথিল করছে সরকার। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগামী ১ মে পর্যন্ত লকডাউন থাকবে দেশজুড়ে।
[৫] এর আগে পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা জানান, করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে থাকলেও লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেয়ার সময় এখনও আসেনি।
[৬] তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল তখনই কার্যক্রম শুরু করতে পারি যখন আমাদের প্রয়োজনীয় স্বস্তি ও নিশ্চয়তা ফিরে আসবে। কার্যক্রম ফের চালুর মাধ্যমে আমরা নিয়ন্ত্রণযোগ্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারি না।
আপনার মতামত লিখুন :