মাসুদ আলম: [২] বুধবার আসামিদের একদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন ডিবি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা। এদের মধ্যে তিন আসামি চক্রের মূলহোতা সোহেল, আক্তার হোসেন ওরফে সোহরাব ও শাওন হোসেন ওরফে শাহীন আদালতে স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দি দেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। অন্য দুই আসামি হলেন- মোঃ নেওয়াজ ও মেহেদী হাসান ওরফে রাজু।
[৩] গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীন মিঠু বলেন, গত ১ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলেজ গেইটে বিল্লাহ ফার্মা ও ৫ এপ্রিল রাতে খিলগাঁওয়ের লাজ ফার্মায় একই স্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তারা প্রথমে একটি পিকআপ করে মুখে মাস্ক ও গামছা পেঁচিয়ে আসে। ফার্মায় যেয়ে চাপাতি, দা ও লোহার রডের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ও ল্যাপটপ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক মামলা করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম ও পল্লবী জোনাল টিম মামলা দুটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।
[৪] তিনি আরো বলেন, লাজ ফার্মায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে রোববার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা সোহেলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিক আপ, নগদ ৫ হাজার টাকা ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, দা ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে বিচারক তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আপনার মতামত লিখুন :