ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : [২] খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ময়মনসিংহের গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রায় ৬০ জনের নাম থাকলেও তারা ৪ বছর ধরে চাল পাননি।
[৩] মঙ্গলবার এ ঘটনায় ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুকনুজ্জামান পল্লবের ডিলারশিপ বাতিল করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর।
[৪] বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর। এরপর অভিযুক্ত ডিলারকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার তার দেয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে ডিলারশিপ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
[৫] অভিযোগে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর প্রশাসনিক সিদ্ধান্তক্রমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে প্রত্যেক ডিলারের দোকানের সামনে সুবিধাভোগীদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রায় ৬০ জনের নাম থাকলেও তারা চাল পাননি। বিগত ৪ বছর যাবৎ এ চাল কে নিল, ঘটনা তদন্ত ও সুবিধাভোগীদের চাল ফেরতের দাবিতে চাল বঞ্চিতরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও তাদের চাল ফেরত দেয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দেন।
[৬] এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. রুকুনুজ্জামান পল্লবের দোকানে রোববার তদন্তে যান ইউএনও সেঁজুতি ধর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সরকার ও গৌরীপুর থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন।
[৭] ডিলার ও চালবঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনও সেঁজুতি ধর চাল পায়নি এমন ৩৮ জনের নামে তাৎক্ষণিক নতুন কার্ড ইস্যু করেন। তাদের এ মাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল প্রদানের জন্য ডিলারকে আদেশ দেন।
[৮] উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার জানান, এ কর্মসূচির অধীনে প্রত্যেক সুবিধাভোগী বছরে ৫ বার ৩০ কেজি করে ১৫০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা মূল্যে পাওয়ার কথা ছিল। ইউএনওর নির্দেশে ডিলারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
[৯] ডিলার মো. রুকুনুজ্জামান পল্লব জানান, প্রত্যেক মাসে কার্ডধারী বা তার স্বজনরা চাল নিয়েছে। তবে তাদেরকে শনাক্ত না করে চাল দেয়াটা ছিল আমার ভুল। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :