বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক (আসিফুল হক) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে অবস্থিত বিআইটিআইডি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসে পাওয়া গেছে জানানো হয়।
[৪] তিনি বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাড়া অপর তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগি দেখতেন । বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বশেষ রোগি দেখেন ৮ এপ্রিল ।
[৫] এদিকে বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাক্তারের বৈলছড়িস্থ বাড়িতে ২ টি, ডাক্তারের দক্ষিন জলদী মনছুরিয়া এলাকায় দাওয়াত খেতে যাওয়া তিন আতœীয় বাড়ি এবং চাম্বলের বেসরকারি ন্যাশানাল হাসপাতাল কে লকডাউন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান ।
[৫] এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা: শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল রাতে এবং ৮ এপ্রিল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বপালন করেছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ বাসায় চলে গিয়েছিলেন। গত তিনদিন পূর্বে তার সর্দি, কাশি সহ হালকা জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিআইটিআইডিতে করোনা সনাক্তকরণের পরীক্ষা করান। তাতে করোনা নেগেটিভ আসে ।
[৬] করোনায় আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের অপর এক সহকর্মী চিকিৎসক বলেন, উনি (করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক) শেষ যেদিন হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ওই দিন উনার সাথে আমার কথা হয়েছে। আমার স্ত্রীও এই হাসপাতালের চিকিৎসক। সেও সেদিন তার খুব কাছেই ছিলো। এখন আমাদেরও সন্দেহ হচ্ছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজন করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করাব। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বাঁশখালীতে করোনা সংক্রমণ খুব খারাপভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
[৭] এদিকে আক্রান্ত চিকিৎসক বুধবার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিবৃত্তি দেয় সে এখন অনেক সুস্থ আছেন এবং সবার কাছে দোয়া চান ।
[৮] বাঁশখালীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতক্ষন প্রচার প্রচারনা ও অভিযান করা হয় ততক্ষন সাধারন জনগন একটু সরে থাকলেও পরক্ষনে হাট বাজার ও দোকান পাঠে ভিড় জমায়। বিশেষ করে গ্রামের দোকান গুলো প্রশাসনের বেধেঁ দেওয়া সময়ের বাইরে ও খোলা রাখে এবং আড্ডা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :