সাদিকুর রহমান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: [২] জেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পদ্মছড়া চা বাগানের একটি রাবার বাগান থেকে সেলিনা আক্তার নামের ৩ সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত সেলিনা আক্তার ওই ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত মনু মিয়ার স্ত্রী।
[৩] বুধবার দুপুরে মাধবপুর চা বাগানের ফাঁড়ি চা বাগান পদ্মছড়া চা বাগানের পারুয়াবিল এলাকার রাবার বাগান থেকে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
[৪] জানা যায়, বুধবার সকালে রাবার শ্রমিকরা গাছ থেকে তরল রাবার সংগ্রহ করতে এসে একটি গাছে গৃহবধু সেলিনার ঝুলন্ত লাশ দেখে পেয়ে শ্রমিকরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চা বাগান কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
[৫] পরে বাগান কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি কমলগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে লাশ গাছ থেকে নামিয়ে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
[৬] মাধবপুর ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ বলেন, কয়েক বছর আগে বিধার স্বামী মারা গেছেন। তার ৩টি ছেলে সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। কি কারণে বা কিভাবে গাছের ডালে ঝুলে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
[৭] নিহতের বড় ছেলে স্বাধীন জানায়, সকাল সাড়ে ৭টায় তাদের মা ৩ ছেলে (তাদেরকে) নাস্তা খাইয়ে বাড়ির বাহির যান।
[৮] স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ৯টার দিকে রাবার বাগানে এক নারীর মরদেহ দেখে মানুষজন জড়ো হলে নিহতের ছোট ছেলে নিহতের লাশ সনাক্ত করেন।
[৯] স্থানীয় পত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধারকালে নিহতের বুকে ও ঘাড়ে আঘাতের চিহৃ দেখেছেন। তাই স্থানীয়রা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলেই সন্দেহ করছেন।।
[১০] কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :