ইমরুল শাহেদ : [২] ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার স্থানীয় সময় বুধবার সকাল থেকেই মাস্ক পরে ভোটাররা ভোট দিতে আসেন। অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে তারা লাইনে দাঁড়ান। কেন্দ্রে ঢোকার আগেই সকলের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। হাত জীবাণুমুক্ত করে ভোটারদের প্লাস্টিকের দস্তানা পরিয়ে দেওয়া হয়। এতসব কার্যক্রমের পরই একজন ভোটার হাতে সিল পান এবং তাকে ব্যালট দিয়ে বুথে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাস আক্রান্তরাও ভোট দিয়েছেন হাসপাতাল থেকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি
[৩] বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচন কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই বাতিল হয় না। ১৯৫২ সালে যখন রক্তক্ষয়ী কোরিয়ান যুদ্ধ চলছিল তখনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদে ৩০০ আসন রয়েছে। ৩৫টি দলের প্রার্থীরা এসব আসনের জন্য লড়ছেন।
[৪] এবারের নির্বাচনের কেন্দ্রে ছিল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার বিষয়টি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় মহামারির কারণে আসন্ন অর্থনৈতিক সংকট ও সরকারের দুর্নীতির বিষয়টিও।
[৫] এই হামারীর মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক নাগরিকেরই সমর্থন ছিল না। তবে সকাল থেকেই কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে, কারও শরীরের তাপমাত্রা যদি ৩৭.৫ সেন্টিগ্রেডের বেশি হয় তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হবে। তিনি আইসোলেশন থেকে ভোট দেবেন। প্রয়োজন হলে হাসপাতালে পাঠানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :