শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনু মুহাম্মদ : প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন না করে জোরজবরদস্তি করে সংকট মোকাবেলা করা যাবে না

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কেউ কেউ দেশে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার দাবি তুলেছেন বলে জানলাম। তাদের যুক্তি- এতে সরকার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে এই সংকট মোকাবেলায় সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে যুক্ত করতে সক্ষম হবে। আমি মনে করি এই দাবি খুবই অযৌক্তিক এবং আত্মঘাতী। বস্তুত বর্তমান সরকার যথেষ্ট ক্ষমতাশালী। তাদের রাজনৈতিক দল গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। চাইলে জনস্বার্থে যা করণীয় সেসব কাজ করতে তার কোনো বাধা নেই। সর্বস্তরের মানুষও এই কাজে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। একাত্তর চ্যানেলের খবরে জানলাম, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নার্সরা না খেয়ে কাজ করছেন, তাদের খাওয়া দেওয়া হয়নি। খবর আসছে- বকেয়া মজুরির দাবিতে শ্রমিকেরা রাস্তায়, দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষুধার্ত মানুষ ট্রাক থামিয়ে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে নিচ্ছেন। এগুলোর সমাধান কি সরকারের হাতে নেই? ত্রাণ সামগ্রী দুর্নীতি বন্ধ করতে সরকারি নেতা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করাই যথেষ্ট, প্রতিষ্ঠান সচল করতে তাদের কাজের সুযোগ দিলেই হবে, ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে যুক্ত করতে তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ও প্রণোদনা দিতে হবে, গরিব মানুষদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে তাদের খাবারের সংস্থান করতে হবে, বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে হবে। এগুলো করতে বাধা কোথায়?

‘জরুরি অবস্থা’ সকল মতপ্রকাশ, সংবাদপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে, নাগরিক অধিকার সাংবিধানিকভাবেই হরণ করে- অথচ সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজন তথ্যের অবাধ প্রবাহ, সকলের মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা এবং সম্মিলিতভাবে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা। সকলের অংশগ্রহণে, স্বচ্ছতায়, জবাবদিহিতায় এবং সবকিছুর কেন্দ্রে জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণেই করোনাসহ সকল জনগুরুত্বসম্পন্ন কাজ সম্ভব। প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন না করে জোরজবরদস্তি করে সংকট মোকাবেলা করা যাবে না।

এই কঠিন সময়েও সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়