ইয়াসিন আরাফাত : [২] ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারাবন্দি থাকা দেশ তুরস্ক। দেশটিতে প্রায় ২ লাখ ৯৪ হাজার বন্দি রয়েছে। সম্প্রতি দেশটির বেশ কয়েকটি কারাগারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।কারাগারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
[৩] ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় ৪৫ হাজার বন্দিকে সাময়িক মুক্তি দিতে পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন করে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস পার্টি (একে পার্টি)। এছাড়া গত বছর কারাগারের ভিড় এড়াতে প্রায় একই সংখ্যক বন্দিকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়। আনাদলু নিউজ এজেন্সি
[৪] মঙ্গলবার তুর্কি পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সুরিয়া সাদি বিলজিক জানান, একে পার্টি ও এর জাতীয়তাবাদী মিত্রদের সমর্থনে বিলটি ২৭৯-৫১ ভোটে অনুমোদন পায়।
[৫] তবে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আটক বন্দিরা মুক্তি পাবে না।এই অভিযোগে আটক রয়েছে বহু সরকারবিরোধী। সরকারবিরোধীদের আটক রাখতে ওই বিধান রাখা হয়েছে দাবি করে এই বন্দি মুক্তির উদ্যোগের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
[৬] ২০১৬ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে তুরস্কে হাজার হাজার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, অধিকার কর্মী, সরকারি চাকরিজীবী, বিচারিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য কারাগারে আটক রয়েছে। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবাহ
আপনার মতামত লিখুন :