শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:৩৭ সকাল
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনায় আক্রান্ত বাবা-মা, হয়রানির শিকার পুরো পরিবার

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] বাড়িওয়ালা আর প্রতিবেশীদের চাপে বাবাকে হাসপাতালে নিতে পারলেও করোনা আক্রান্ত মাকে নিতে কোন অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। এর পর সিএনজিতে করে হাসপাতালে নেয়ার পথে চালক জোর করে তাদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়, আর স্বামী-স্ত্রী করোনা আক্রান্ত জেনে বাড়িওয়ালা তাদের ২ ছেলেকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। এসব কথা বিবিসিকে বলেছেন ওই দম্পতির বড় ছেলে।

[৩] তিনি বিলেন,  বেশ কদিন ধরে আব্বুর জ্বর কমছিল না দেখে ৮ মার্চ টেস্ট করাতে যান পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে। পরের দিন হাসপাতাল জানায়, পজিটিভ আসছে। যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে আইইডিসিআরে ফোন দেন। আইইডিসিআরে ফোন দিলে তারা বলে, সম্ভব হলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তারাই আবার আব্বুকে ফোন দিয়ে বলে, আপনি যখন সুস্থ আছেন, তখন আপাতত বাসাতেই থাকেন, সমস্যা নাই। ওইদিন বাড়িওয়ালাকে এ কথাটা জানাতে পারিনি। কারণ অনবরত ফোন আসছিল রাত পর্যন্ত। আমরা একটু ভেঙে পড়েছিলাম। পরদিন বাড়িওয়ালা জেনে পুলিশকে জানায়। এরপর বাড়ি লকডাউন করে। বিভিন্নভাবে চাপ শুরু হয়। আমি ট্রিপল নাইনে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স আনি। ১০ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

[৪] তারপর আমার ভাই ও মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাই। তারা বলেন, দেরি হয়ে গেছে, আপনারা কালকে আসেন। পরের দিন ১১ এপিল ্রআমরা আবার হাসপাতালে যাই। সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে আমরা আইসোলেশন রুমে বসা। তখন সেখানে ৫জন ছিল। দুপুর যত গড়াতে থাকে রোগী ও লোক বাড়ছিল। এক পর্যায়ে ১৯ জন হয়ে গেল ওই রুমের মধ্যে। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসা। কেউ ক্রমাগত হাঁপাচ্ছে। মুখে মাস্ক নাই। কেউ কাশছে। ওখানে বাচ্চারাও ছিল। ৫ বছর, ১০ বছরের বাচ্চা। বয়স্ক লোক ছিল। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছুই ছিল না।

[৫] ৩টার দিকে তিনজনের একটা টিম আসে। তারা ছয়-সাতজনের নমুনা নিয়ে চলে যায়। কোনো সিরিয়াল মানা হলো না। জিজ্ঞেস করলে বলে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে আসবে। কিন্তু আসতে আসতে সন্ধ্যা সাতটা বাজে। ওখান থেকে কাউকে বেরও হতে দিচ্ছিল না। আমরা তিনজনই ওখানে ছিলাম। খাবার দাবার কিছুই ছিল না। দুপুরের দিকে লাঞ্চ দিয়েছিলো। ভাত-তরকারী, কিন্তু তা খাবার মত ছিল না।

[৬] ারা দিন পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে এসে আরও তিন-চারজনের স্যাম্পল নিল। কিন্তু আমাদের বসিয়ে রাখল। পরে একজন বলেন যে, আপনাদের কাগজ হয়তো হারিয়ে গেছে, আপনি আবার সাত নম্বর রুম থেকে এনে কাগজ জমা দেন।  পরে আবার ফর্ম পূরণ করে দেওয়ার পর আমাদের স্যাম্পল নেয়।

[৭] তারা বলছিলেন, ১২ তারিখ দুপুরের দিকে রিপোর্ট দেবে। আমি ১০টার দিকে যাই। রুমের সামনে অনেক মানুষ ছিল। একজন আরেকজনের সঙ্গে ঘেঁসে দাড়ানো ছিল দেখে আমি ভয়ে আর এগুইনি। পরে ফাঁকা হওয়ার পর গিয়ে শুনি রিপোর্ট আসেনি।

আবার সাড়ে ৩টার দিকে যাই। তখন বলছে যে আপনার রিপোর্ট ডিরেক্টরের ওখানে আছে। উনি স্বাক্ষর করে নাই, যার কারণে কষ্ট করে আপনি কালকে দশটায় আসেন। সে অনুযায়ী আজকে ১৩ এপ্রিল আসছি।

[৮] তবে এর মধ্যে ১২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, মায়ের পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে। উনারা বলছিল, গতকালই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কীভাবে নেব, এত রাতে গাড়ি পাবো কোথায়। পরে মঙ্গলবার সকালে আম্মুকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসি। কিন্তু আম্মুর রিপোর্টটা পাচ্ছিল না। পরে লোকজন ধরে চাপ দিয়ে আম্মুর রিপোর্টটা বের করি। কিন্তু আমাদের দুই ভাইয়ের রিপোর্ট পেলাম না। সূত্র : আমাদেরসময়

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়