মনোরমা বিশ্বাস : আমরা যারা কাজ করতাম, তারা সবাই ‘আনএমপ্লয়মেন্টে’ চলে গেছি। এক সপ্তাহে যা ইনকাম করতাম, এখন এক মাসে তাই দিচ্ছে সরকার। আমাদের অফিসের সবাই এই একই পরিমাণ টাকা পাচ্ছে। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট জানালো সে সপ্তাহে আরও ৬০০ টাকা করে পাচ্ছে, এটা নাকি চার মাস ধরে পাবে। সেদিন আমাদের বস গ্রুপ চ্যাটিংয়ে জিজ্ঞেস করলেন কারা কারা এই টাকা পেয়েছেন। আমি কৌতূহলবশে একাউন্ট ওপেন করে দেখি, সেখান থেকে আইআরএস এগারো শত টাকার বেশি নিয়ে নিয়েছে। যাকে দিয়ে ট্যাক্স ফাইল করিয়েছিলাম তাকে ফোন করে জানলাম, আমার ইনকাম বেশি তাই আমাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে ট্যাক্স ফাইল করলে বছর শেষে কিছু ফেরত পেতাম, প্রায় ৩/৪ হাজার ডলার। এখন উল্টো আরও দিতে হয়। ছোটকালে পাটিগণিতে ভালো ছিলাম। চিনির দাম ২৫ শতাংশ বাড়লে চিনির ব্যবহার কতো কমালে খরচ বাড়বে না, এ হিসাব তখন থেকেই শিখেছিলাম। এখন তো আমি খরচ ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন খাওয়ার ব্যাপারে দুই টাকার বেশি করিনি। আমি খুবই সংযমী, সব ব্যাপারে, এই জন্য দ্রুত বড়লোক হতে পেরেছি। ঠিক করেছি আনএমপ্লয়মেন্টের সব টাকাই দেশে পাঠিয়ে দেবো। দেশের নিকটতম আত্মীয় আর আমার গ্রামের মানুষের জন্য তা ব্যয় হবে। আমার নিজের জন্য আর কিছুই দরকার নেই। ছোটকালে একটু ভালো খেতে পারতাম না। তখন যা কল্পনা করেছি, তার চেয়ে বহুগুণ ধনী আমি। অভাববোধ নেই বললেই চলে। এখন বুঝি, আনন্দে থাকাই হলো জীবনের উদ্দেশ্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :