শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৯:২৯ সকাল
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৯:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]করোনায় দিশেহারা খেটে-খাওয়া মানুষ, বিপাকে মধ্যবিত্তরাও

রাজু আলাউদ্দিন: [২] করোনার ভয়াল থাবায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা। কাজ না থাকায় এবং লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে চাইতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণিও। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সরকারি সামান্য অনুদানে অসহায় কিছু মানুষকে সহযোগিতা করা গেলেও মধ্যবিত্তরা থেকে যায় তালিকার বাইরে। সহযোগিতার পরিমাণ বাড়ানোর আশ্বাস ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রের।

[৩] এক ডাব বিক্রেতা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাইনি। তাই ডাব বিক্রি করেই সংসার চালাতে হয়। যাত্রাবাড়ীর ৫০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল গফুর। সারাদিনে ডাব বিক্রির টাকাতেই চালাতে হয় সংসার। এর বাইরে সরকারি অনুদান কিংবা কোনো ত্রাণের খবর জানা নেই তার। তার মতো দিন এনে দিন খাওয়া এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।

[৪] একজন বলেন, নির্বাচনের সময় নেতাদের আমাদের নাম মনে থাকে। কিন্ত দুর্যোগের সময় তারা আমাদের কোনো খবর রাখেন না। স্থানীয় একজন বলেন, ভোট চাওয়ার সময় যখন বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার চায় এবং ভোটের স্লিপ বাসায় পাঠায় দেয় তেমনি এখন সরকারের উচিত, সবার বাসার হোল্ডিং নাম্বার অনুযায়ী বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দেয়া।

[৫] ওয়ার্ড কাউন্সিলরেরে হিসাব মতে, এই ওয়ার্ডে ৪৫ হাজার ভোটারের মধ্যে গরিব মানুষের সংখ্যা আছে ২০ থেকে ২৫ হাজার। তবে সিটি কর্পোরেশন থেকে লিস্ট করতে বলা হয়েছে মাত্র ৫শ' জনের। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শহরের অন্য ওয়ার্ডগুলোতেও একই অবস্থা। ডিএসসিসি ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসাইন খান বলেন, ৫ হাজার মানুষকে খাবার দিলে কিছু হবে না এখানে। তো এখানে আমি ৫০০ মানুষকে কীভাবে খাবার দেব?

[৬] ডিএসসিসির ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল কাজী হাবিবুর রহমান হাবু বলেন, এখানে ২৫ হাজার মানুষই দিন আনে দিন খায়, তো সবাইকে তো ত্রাণ দেয়া সম্ভব না। আমার নিজের অর্থায়নে ২ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়েছি। তবে যারা হাত পাততে পারেন না তাদের জন্য গোপনে সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে জানান ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

[৭] মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ রকম পারিবার থেকে ফোন আসছে, যাদের নিয়ে চিন্তা ও করা যায় না। তারা ফোন করে আমাকে জানিয়েছে খুবই বিপদে আছেন। তা এ মুহূর্তে আমাদের সবাইকে সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। এবং এক সঙ্গে মানবতার স্বার্থে কাজ করতে হবে। করোনার দুর্যোগ মোকাবিলায় মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াতে শুধু সরকার নয়, মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের উচ্চবিত্তদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান উত্তর সিটি মেয়রের। সময়টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়