টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : [২] ৫০ বছর বয়সী এই মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সন্তানেরা এমনটা করেন। পরে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা প্রশাসন তাঁকে বন থেকে উদ্ধার করে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
[৩] উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সোমবার রাত আটটার দিকে বনের ভেতর থেকে এক নারীর কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয়রা আমাকে খবর দেয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন ওই নারীর কাছে যান। ওই নারী তাঁর ছেলেমেয়েরা কীভাবে তাঁকে জঙ্গলে ফেলে গেছেন, সেই কাহিনি বলেন’।
[৪] মঙ্গলবার সকাল সাতটায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়।’
[৫] সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা আজ ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
[৬] ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, গ্রামবাসী খোঁজ না পেলে রাতের বেলা হয়তো ওই অসুস্থ নারীকে শিয়াল–কুকুরে খেয়ে ফেলত।’
[৭] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ওই নারীর বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়। গাজীপুরের সালনায় একটি পোশাক কারখানায় ওই নারীর এক ছেলে, দুই মেয়ে ও জামাতারা চাকরি করেন। সবাই মিলে সালনায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ওই নারী সবাইকে রান্না করে খাওয়াতেন।
[৮] কয়েক দিন ধরে ওই নারীর জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হলে আশপাশের বাসার লোকজন তাঁদের তাড়িয়ে দেন। একটি পিকআপভ্যান ভাড়া করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী যাওয়ার পথে সখীপুরের জঙ্গলে সন্তানেরা মাকে ফেলে যান। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :