নজরুল ইসলাম : [২] চাল, ডাল, শাক-সবজি, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় ৩১ ধরনের দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে তার বাড়ির কাছে উপস্থিত হয়ে ফোনে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওলিউজ্জামান।
[৩] উপহার সামগ্রী তার বাড়ির দরজায় রাখা হয়।
[৪] ইউএনও বলেন, নববর্ষের দিনে তাকে করোনার হতাশা থেকে মুক্ত করে নতুন এক জীবনের আশা জোগানোর জন্য এই উদ্যোগ। ইতিপূর্বেও আমরা তাকে প্রায় ৫০ কেজি চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিয়েছি। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন তার পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, ১২ এপ্রিল বিকাল ৫টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি পেশায় দর্জি ওই ব্যক্তির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। তখন আরএমও ডা. মঞ্জুর ও পুঠিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ রেজাউল ইসলামকে নিয়ে তার বাড়ির কাছে উপস্থিত হই।
[৬] নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তার বক্তব্য নেওয়া হয়। তার বোন ও সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শোনার পর এবং সকল তথ্য যাচাই বাছাই শেষে প্রতীয়মান হয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তার বোনের ঘর এবং সংস্পর্শে আসা ও নিকটবর্তী মোট ৪০টি পরিবার ও ৩টি প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতাভুক্ত করা জরুরী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক ১৩ এপ্রিল একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে সেখানে লকডাউন ঘোষণা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :