শিমুল মাহমুদ : [৩] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৃতের গোসলের ক্ষেত্রে সতকতা থাকলেও কবর দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনো সতর্কতা প্রয়োজন নেই। তবে মৃতদেহ সৎকারের সময় হাতের সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের নিশ্চিত করতে হবে। আত্মীয়স্বজন কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ও মাস্ক পরে লাশ দেখতে পারবেন, তবে মৃতকে স্পর্শ করা যাবে না।
[৪] ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কেউ কেউ বলছে মৃত ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটা তিন দিন থাকতে পারে আবার কেউ কেউ বলছে তিন থেকে চার ঘন্টা। এ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তিকে গোসল না করিয়ে তায়াম্মুম করানোটা নিরাপদ। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন মেনে তায়াম্মুম এবং দাফন সম্পন্ন করতে হবে।
[৬] আইইডিসিআর এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মৃতদেহকে সাবান পানি দিয়ে গোসল করালে ভাইরাস শেষ হয়ে যায়। যিনি গোসল করাবেন তাকে পিপিই বা পলিথিনের জামা পরে গোসল করাতে হবে। গোসল করানো ব্যক্তিকেও সাথে সাথে সাবান-পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। তার পরিধেয় পোশাক আধঘণ্টা ধরে সাবান-পানি দিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
[৫] তবে বিএসএমএমইউ ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, মৃত দেহ থেকে করোনা ছড়াবে না এর নিশ্চিয়তা দেওয়া যায় না। তাই এর সুরক্ষার কথা বলা হচ্ছে। মৃতদেহ থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস বের হয় না তবে মৃতব্যক্তির বায়োফ্লুইড, যেমন নাকের শ্লেষ্মা, মলমূত্র, সর্দি ইত্যাদিতে ভাইরাস থাকে।
[৬] তিনি বলেন, যখন মৃতের সৎকার করা হবে, তখন মৃতদেহ ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে জিপার আটকে দিতে হবে। সেই ব্যাগের পুরুত্ব হবে ১৫০ মাইক্রোন। ছয় মিটার দূরে থেকে দাফন করতে হবে। সনাতন ধর্ম হলে একই দূরত্বে থেকে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :