‘যে দেশে দোতলা থেকে নিচতলায় পৌঁছতে ২০ টাকা ১০ টাকা হয়ে যায়, সে দেশে কতো টাকার বাজেট প্রণয়ন করলে তা জনগণের নিকট পৌঁছবে’? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় নিম্নোক্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো : ১. স্বল্প আয়ের মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার জন্য পাঁচ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং এক লাখ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। ২. শহরাঞ্চলে বসবাসরত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ওএমএসের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ৩. দিনমজুর, রিকশা বা ভ্যানচালক, মোটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেল শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ, যারা দীর্ঘ ছুটি বা আংশিক লকডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন, তাদের এককালীন নগদ অর্থ দেওয়া হবে’।
ভয় লাগছে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণামাফিক সামগ্রী নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে কতোটা পৌঁছবে। আমরা সাহসী হতে পারি, যেখানেই দেখবো ত্রাণ চুরিসহ অনিয়ম হচ্ছে, মুঠোফোনে ছবি/ভিডিও করে ফেসবুকে দিয়ে দিতে পারি। আগের যুগে ত্রাণ চুরি করে পার পাওয়া যেতো, এখন এই ডিজিটাল যুগে আমরা একটু সচেতন হলেই কিন্তু থেমে যাবে ত্রাণ চোরগুলো। ভয় পাবে চুরি করতে। অনেকেই ইতোমধ্যে কাজটি করছেন, তাদের অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ত্রাণ চুরি কিন্তু আমরাই ঠেকাতে পারি। দরকার তারুণ্যের একটু সাহস আর মানবপ্রেম। তরুণরা বদলালেই বদলে যাবে দেশ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :