ইসলামঈল হোসেন ইমু : [২] শাহবাগ এলাকায় নেই মানুষের জটলা। লাল সাদা পাড়ের কাপড়ে নেই নারীদের মিলন মেলা। কারো কারো গালে রংতুলির ছোয়াও নেই। তবে ঘরে বসেই উদযাপন হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। করোনাকান্ডে বিশ্ববাসী যখন ঘরে থাকার বার্ত দিচ্ছে তখন আর বাইরে কেন ঘরে বসেই হোক নববর্ষের উদযাপন।
[৩] আজ পহেলা বৈশাখ। বাঙালির জীবনে আজ নতুন বছরের প্রথম দিন, নতুন বার্তা। আজকের সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে সূচনা হলো বাংলা ১৪২৭ সালের। তবে আজকের এই বৈশাখ বাঙালির জীবনের যেকোনো বৈশাখের চেয়ে আলাদা। করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক এই দুর্যোগের সময় আমাদের জীবন অবরুদ্ধ।
[৪] ঘরে বসেই দেশের মানুষ মোকাবেলা করছে এই মহামারির। আজ পহেলা বৈশাখের বাংলা ঢোলের বাজনা বাজবে বাঙালির মনে মনে। প্রাণে প্রাণ মিলবে রাস্তা বা খোলা ময়দানে নয়, যার যার বাসায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ম্যাসেঞ্জারে। আজ পহেলা বৈশাখের উৎসব হবে বাংলার ঘরে ঘরে, নিজের মতো করে।
[৫] এদিকে গত সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবার সবাইকে অনুরোধ করব কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা, তরমুজসহ নানা মৌসুমী ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন। আপনারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন, পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।
[৬] প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল পদ্ধতিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি অনুষ্ঠান সকাল সাড়ে আটটা হতে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনে একযোগে স¤প্রচার করা হবে। সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :