মাসুদ আলম : [২] এদের মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় একই পরিবারের তিনজন ও জাজিরায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই উপজেলার ৮২টি পরিবারকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

[৩] আক্রান্ত ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আজিমপুর থেকে শরীয়তপুরে আসায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর ওই চারজনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

[৪] জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত পরিবারটিসহ পুরো গ্রাম লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েনসহ সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

[৫] শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, গত ১০ এপ্রিল শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া টুমচর এলাকার একই পরিবারের তিনজন নারায়নগঞ্জ থেকে ও গত ৯ এপ্রিল ঢাকার আজিমপুর থেকে এক ব্যক্তি জাজিরা বড় মূলনা তালুকদার কান্দির এলাকায় আসেন। এছাড়া সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে এবং ঢাকা থেকে জাজিরায় আসা এক যুবকের পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ পাই। বাকি ১১ জনের ফলাফল এখনও হাতে পাইনি। শরীয়তপুর থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট সন্দেহভাজন ৫০ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫ জনের ফলাফল নেগেটিভ ও চারজনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।