শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠিক কী লাইফ স্টাইল মেনে চলে সুস্থ আছি আজ পর্যন্ত?

নাদেরা সুলতানা নদী : বাসায় থাকা সময়ের আজ প্রায় চার সপ্তাহের কাছাকাছি। কেমন আছি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে, মাঝে মাঝেই ফেসবুক পোস্টে জানান দিচ্ছি। আজ শেয়ার করি ঠিক কী লাইফ স্টাইল মেনে চলে সুস্থ আছি আজ পর্যন্ত, যদি কারো কাজে লাগে। একটা কথা না বললেই নয়, কোনো না কোনোভাবে এই সময়ে অনেকের মতো চাকরি এখনও চলে যায়নি বলে নিজেকে রীতিমতো ব্লেসড ভাবছি। কারণ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যে ৬/৭টা বাসা থেকেই অফিসের কাজে ব্যস্ত কেটে যাচ্ছে। সপ্তাহান্তে বের হচ্ছি কাছের সুপার শপে কিছু সময় কাজ করতে এবং এই সময়টা মনে হচ্ছে জনসেবা করতে পারছি একটু হলেও।
১.কাজের বাইরে শুরুতে বিশেষভাবে বিশ্ব সংবাদ ফলো করলেও এখন করছি না। শুধু সকালে বাংলাদেশে থাকা মা বাবা এবং ফেসবুকের নিউজফিডে এক ঝলক চোখ বুলাচ্ছি। এরপর একদম সব কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় চা নিয়ে বসছি বাংলাদেশসহ দুই একটা নিউজ দেখতে। যেহেতু ব্যস্ত থাকি, তাই স্বাভাবিকভাবেই কাজ শেষ হওয়া মাত্রই কোমড় বেঁধে ঘরের ক্লিনিং এবং কুকিংএ নামতে হয়। না অনেক বেশি কিছু রান্না করছি না, যা করছি একটু স্বাস্থ্যকর কোনো খাবার এবং লাল চা উইথ সব রকম মসলা এবং একটু মধু। ২.যতোটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আগে থাকতাম এখন তার চেয়ে আরো একটু বেশি থাকা হচ্ছে। বাইরে নভোর বাবা কাজে যাচ্ছে। সে ফিরেই যা করছে ব্লিচ দিয়ে দুটো বড় স্প্রে বোতল রাখা হয়েছে বাইরে দড়জার সামনে ওটা পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্প্রে করেই ঘরে ঢুকছে, গোসল করছে এবং ফিরেই বাইরের কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধুঁয়ে ফেলা হচ্ছে। মুছে দিচ্ছি দড়জার হাতল। ৩. বাসায় বাইরে থেকে এসে ছেলেটার খুব কাছে কেউ যাচ্ছি না। বড় একটা সেনেটাইজার রাখা আছে ঘরের মাঝখানে ওটাও কারণে অকারণে ব্যাবহার করা হচ্ছে। ৪.সারাদিন আত্মীয় বন্ধু পরিজন প্রায় অর্ধশত করোনা রিলেটেড পোস্ট পাঠাচ্ছেন, এমনিতেই দেখার সময় নেই আমার, তারপর রাতে একটু সময় নিয়ে কুইক চেক করি। মনে চাপ পরে এমন কিছু দেখছি না। করোনা ভয়াবহ বুঝেছি, সাবধান হয়েছি, কাছের সবাইকে বলছিও তো। নতুন খুব কার্যকর কিছু না হলে, নিজেই নিজেকে বলছি এনাফ। ৫ এবং যা করছিই পরিশ্রমটা করছি, লম্বা সময় বসে থাকতে হয় তাই ক্লিনিংয়েই ওয়ার্ক আউট করছি। সময় পেলে আকাশ দেখছি, প্রকৃতির কাছে যেতে পারার সৌভাগ্য আমার এখনও আছে নিজের আরো আরো গভীরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছি এবং ছোট ছোট কিছু সাহায্য যা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে, আরো যা করছি ঘুমানোর সময়টুকু বাদ দিয়ে, প্রার্থনা, দোয়া, শুভকামনা। এত কিছুর পর কোনো কোনো দিন মন খুব অস্থির হয়, কান্না আসে, কান্না আসলে করি, কাছের অনেককেই কল দেয়া হয় না কিন্তু মনের মাঝে আমার কাছের দূরের প্রিয় প্রিয় সবাই আছে প্রতিটা ক্ষণ। মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া, ১২ এপ্রিল ২০২০।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়