সাইফুল কবির: [২] কভিড-১৯ এর কারণে দিশেহারা জেলার খানজাহান আলী মাজার মোড় সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নেয়া কিছু ভাসমান বেদে সম্প্রদায়। জীবিকার সন্ধানে বাগেরহাটে আসার পর করোনা পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়েন তারা।
[৩]এসব বেদে সম্প্রদায়ের বসবাস স্থলে গিয়ে দেখা গেছে তাদের জীবনযাপনের করুণ চিত্র
দু-চারটি নয়, এখানে আশ্রয় নিয়েছে বেদেদের ৪৪টি পরিবার। করোনা পরিস্থিতিতে দু'চোখে অন্ধকার দেখছে এসব বেদেরা। রোজগারের সকল পথও বন্ধ। এখন খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে নারী ও শিশুসহ বেদে পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ।
[৪] বেদে সম্প্রদায়ের সরদার আবুল কালামসহ অনেকে বলেন, ‘আমরা ভাসমান মানুষ। কয়েকদিন পর পর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। পথেই থাকতে হয় স্ত্রী সন্তান নিয়ে। তবে করোনার কারণে এবার বাগেরহাটে আটকে গেছি । কর্মহীন হয়ে তাবুতে থাকতে হচ্ছে। সরকারের সহায়তায় চাল, ডাল, তেল, লবনসহ কিছু খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলাম। স্বাভাবিক সময়ের থেকে কম খেয়েও ১০ দিনের বেশি নিতে পারিনি। এখন কি খাব আমরা, সেটাই চিন্তা।'
'
[৫] বাগেরহাট করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কিত কার্যক্রমের সমন্বয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বেদে পল্লীতে একবার খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখব যদি পুনরায় তাদের খাবার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :