আনিস তপন : [২] সময় সকাল ১১.৪০ মিনিট। সাধারণ কর্মদিবসে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার কর্মব্যস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারি-দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকে সারাদিন। সেখানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সরকারের সাধারণ ছুটিতে খাঁ খাঁ করছে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়।
[৩] সরেজমিন সচিবালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে নেই কোনো কোলাহল, নেই কোনো গাড়ির জট।
[৪] তবে অন্যান্য সাধারণ দিন থেকেও স্বাস্থ্য ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাঝের উচু গাছগুলোতে বন্য টিয়া পাখির কলকাকলি ছিল বেশি।
[৫] এর সঙ্গে সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
[৬] এসময়ে সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের (এসবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আসেন না। তবে মাঝে মাঝে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, খাদ্য সচিব এর মধ্যে কয়েক বার সচিবালয়ে অফিস করেছেন।
তাছাড়া কোনো কোনো মন্ত্রণালয় থেকে যদি কোনো জিও (গভ. অর্ডার) জারির প্রয়োজন হয় তবে সেই মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শাখার কর্মকর্তারা সচিবালয়ে আসেন।
এছাড়া সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ, গোয়েন্দা শাখার সদস্যসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
[৭] এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে টেলিফোনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কয়েক জন কর্মকর্তাকে তাদের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :