মতিনুজ্জামান মিটু: [২] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আজহার আলী জানান, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের সাধারণ ছুটিতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমদানী রপ্তানি অব্যাহত রাখা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের উদ্ভিদ সংগনিরোধ ষ্টেশন কার্যালয়ে সিএন্ডএফ এজেন্টদের আবেদনে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ৭৪টি ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেট এবং আমদানিকরা টাটকা ফল ও মসলা জাতীয় পণ্যের ৪৯৪টি ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। কাঁচা তুলা ও ডাল জাতীয় পণ্যের ২৩৭টি এবং চাটার্ড ভেসেলে আমদানি করা পণ্যের ৫২টি ছাড়পত্র দেওয়া হয় এসময়। এছাড়া আমদানি পণ্যের অনুকূলে ১৩২টি আমদানি অনুমতি পত্র দেওয়া হয়।
[৩] ওই ৭৪টি ফাইটোসেনেটারি সার্টিফিকেটের অনুকূলে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্রায় ৩ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন আলু এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। এ দেশগুলে হচ্ছে; মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, ইউএই, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, সৌদি আরব ও ভিয়েতনাম।
[৪] ফল ও মসলার মধ্যে আমদানি হয়েছে আপেল, কমলা, নাশপতি, খেজুর, কেশিয়া, আলমন্ড, জিরা, আদা, রসুন, আলুবোকরা, মেইজ স্টার্চ, টপিকা স্টার্চ, কোপড়া, দারুচিনি, পিপার, ইসবগুল, কাঠ, এলাচ, সাগু, ড্রাগন ফল, ফেলন, পেঁয়াজ, আঙ্গুর ও চালসহ বিভিন্ন পন্য। আমদানি পণ্যের মধ্যে আরো ছিলো; কাঁচা তুলা, ভূট্টা, মশুর, ছোলা, ইয়েলো পিচ, গ্রীন মুগ বিন, ব্লাক মাটমি ও হুইট ব্রান।
[৫] আমেরিকা, ব্রাজিল, বেনিন, মালি, ভারত, মালাডোলা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মায়ানমার, বুরজিনা ফেসো, চীন, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, গুয়েতেমালা, ডেনমার্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া, ঘানা, সুরিনাম, ক্যামেরেুন আলজেরিয়া, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, লাইবেরিয়া, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে এসব পণ্য আমদানি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :