আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] ভারতে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। পর্যটকের আনাগোনাও বন্ধ। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে কলকারকাখানাও। তাতে হৃষিকেশ এবং হরিদ্বারে গঙ্গার পানি কার্যতই ‘পবিত্র’ হয়ে উঠেছে। আনন্দবাজার, এএনআই
[৩] দূষণ কমে গিয়ে গঙ্গার পানি এতটাই শুদ্ধ হয়ে উঠেছে যে, তা দিয়ে আচমন (কুলি) করার সময় দুইবার ভাবতে হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী গুরুকুল কাঙরি ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক বিডি জোশী।
[৪] বহুকাল পর গঙ্গার পানি এমন বিশুদ্ধ হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন বিডি জোশী। তিনি বলেন, গঙ্গার পানিতে দ্রবীভূত কঠিন পদার্থ শিল্পবর্জ্য, হোটেল-ধর্মশালা থেকে নির্গত ময়লা এসে পড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
[৫] একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘গঙ্গা সভা’র সাধারণ সম্পাদক জানান, এর আগে গঙ্গা কখনও এত পরিষ্কার হয়নি। পানির গুণগত মানও আগের চেয়ে ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের (পিসিবি) আঞ্চলিক কর্মকর্তা আরকে কাহাইত।
[৬] পিসিবির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএস পালের দাবি, এই মুহূর্তে গঙ্গার পানিতে নির্দ্বিধায় গোসল করা যায়। জীবাণুমুক্ত করার পর তা পান করতেও সমস্যা নেই। উত্তরাখণ্ডের পরিশোধনকারী প্রকল্পগুলিও গঙ্গার পানি থেকে দূষণ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মত তার।
আপনার মতামত লিখুন :