রাজু আলাউদ্দিন : [২] এক ট্রাফিক কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হওয়ার কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ওই কনস্টেবলের অবস্থানস্থল ব্যারাক লকডাউন করায় ২০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। যেখানে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী বলছে, তারা ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
[৩] এমনিতে সীমিত জনবল নিয়ে নগরীর ৫টি প্রবেশ দ্বারের পাশাপাশি ৩০ টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে। এর মাঝে একজন কনষ্টেবল করোনা পজেটিভ হওয়ায় ২০০ পুলিশসহ লকডাউন করা হয়েছে একটি ব্যারাকে।
[৪] নগরীর সবচেয়ে বৃহৎত্তম জংশন হিসেবে পরিচিত ১৬ শহর ২ নাম্বার গেট। অন্তত ষাটটি রাস্তা এসে মিশেছে এই সেই মোড়টিতে। এখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতো ৫ জন কনস্টেবল এবং ২ জন সার্জেন্ট। যা এখন ২ জন কন্সটেবল এবং ১ জন সার্জেন্টে নেমে এসেছে।
[৫] সিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট আমজাদ হোসেন বলেন, আগে ৫ জন ফোর্স ছিলো অফিসার ছিলেন ৩ জন। সেখানে ২ জন ফোর্স আর আমি একা। মানুষ নিজে থেকেই সচেতন না। আমরা থাকলে তারা দূরে যায় না থাকলে চলে আসে।
[৬] সিএমপি সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া জনগণ যাতে ঘরে থাকে তার জন্য তাদের অনেক বুঝাতে চেষ্টা করছি। এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চতে নিয়োজিত সেনাবাহিনী সিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ২৪ পদাতিক ডিভিশন এয়ার ডিফেন্স সিও লে কর্নেল রাশেদ।
[৭] চট্টগ্রামে অঘোষিত লকডাউন জারির পর থেকে অযাচিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছিলো ট্রাফিক বিভাগ। গত এক সপ্তাহে তারা অন্তত আড়াই হাজার গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। সময়টিভি
আপনার মতামত লিখুন :