মো. আখতারুজ্জামান : [২] সেই সঙ্গে বিসিআইসির নিয়ন্ত্রাধীন সব সার কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট সার পৌঁছে দিতে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
[৩] শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে কর্পোরেশনের সার কারখানা ও গোডাউনসমূহে ৯ লাখ ৩৫ হাজার টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। গত বছর একই সময়ে ইউরিয়া সারের মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৫ টন।
[৪] চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউরিয়ার মোট চাহিদা ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টন। এর প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার টন সার ইতিমধ্য কৃষকদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে।
[৫] অন্যদিকে কাফকোসহ বিসিআইসি'র নিয়ন্ত্রাধীন কারখানাগুলোতে বিসিআইসির কারখানাসমূহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রোগ তত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এজন্য পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং, মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় পিপিই প্রদান করা হয়েছে।
[৬] বর্তমানে বিসিআইসি'র অধীন ৬টি সার কারখানার মধ্যে ৩টি কারখানা চলমান রয়েছে এবং অন্য ৩টি কারখানা নিয়মিত সংক্ষিপ্ত মেরামতি শেষে শীঘ্রই উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে বলে বিসিআইসির সূত্রে জানা গেছে।
[৭] সার উৎপাদন ছাড়াও পরিকল্পনা অনুযায়ী বিসিআইসির সার আমদানি ও সরবরাহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিসিআইস'র চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ও কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ সার ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করছে বলে জানা যায়।
[৮] কৃষি উৎপাদনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ইউরিয়া সার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিসিআইসি সারাদেশে ২৯টি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ ডিলারের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সরবরাহ করে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :