লাইজুল ইসলাম : [২] কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেহাব উদ্দিন। ওই দিনই সন্ধ্যায় অধিদপ্তর ছয় চিকিৎসক অনিচ্ছা দেখিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন।
[৩] যাদের সাময়িক বরখাস্তকৃত চিকিৎসকরা হলেন, ডাক্তার শারমিন হোসেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট ও ডা. মো. ফজলুল হক, আবাসিক চিকিৎসক করোনা রোগিদের চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানান। এই প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
[৪] ডা. বেলাল হোসেন বলেন, ডা. হীরস্ব চন্দ্র রায়, ডা. ফারহানা হাসানাত, ডা উর্মি পারভিন, ডা. কাওসার উল্লাহ এই চার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত র্ছিলেন। তাই তাদেরকেও আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
[৫] এদের মধ্যে শারমিন হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, আমাকে না জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নাম পাঠানো হয়েছে। আমি চিকিৎসা দিতে চাইনি এমন কথা আমি কাউকে বলিনি।
[৬] শারমিন হোসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হাজিরা খাতার অনুলিপি নিয়ে পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেছেন।
[৭] এদিকে, শনিবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তরে টক শোতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মুহাম্মদ ফজলুল হক। তিনি নিয়মিত হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানান।
[৮] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. বেলাল হোসেন বলেন, ডা. শারমিন হোসেন দেখা করেছেন। শারমিনকে তাঁর বক্তব্য লিখিতভাবে স্বাস্থ্যসচিবকে দিতে বলেছেন। আদেশ প্রত্যাহার নিয়ে তিনি কিছু বেলননি।
আপনার মতামত লিখুন :