মৌরী সিদ্দিকা : [২] কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়ন সাব সেন্টারের (পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীন) উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সরোয়ার হোসেন। সকাল ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত তার থাকার কথা সরকারি কর্মস্থলে। ১২ এপ্রিল রোববার সকাল ১০ টা পর্যন্ত তাকে কুমারখালী পৌরসভা এলাকায় (পৌর শিশু পার্কের প্রধান গেটের সামনে) নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে রোগী দেখতে দেখা যায়।
[৩] এ বিষয়ে কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ (মেডিক্যাল অফিসার) ডা. ফারিয়া জানান, কর্মস্থলে না গিয়ে যদি নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন তবে এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
[৪] এ ব্যাপারে ডাক্তার সরোয়ার হোসেন জানান, আমি নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়েই অফিসে যাই। কিন্তু আজ সকালে পরিচিতজনদের অনুরোধে রোগী দেখার কারণে অফিসে যেতে দেরী হয়ে গেছে।
[৫] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, সরোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত চেম্বারের অদুরেই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। অধিকাংশ দিনই সরকারি অফিস ফাঁকি দিয়ে সরোয়ার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখে থাকেন। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কিছুই বলেন না। বিশেষ করে বর্তমানে দেশের এই দু:সময়ে একজন চিকিৎসক গ্রামের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে রোগী দেখছেন এটা ঠিক নয়।
[৬] একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সরোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত চেম্বারের সঙ্গেই নিজের সহধর্মীনির নামে লাইসেন্স নিয়ে নিয়ম বর্হিভুতভাবে গড়ে তোলা তুলেছেন স্নিগ্ধা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আর সে কারণেই তিনি এখানে বেশি সময় দিয়ে থাকেন। সূত্র : কালের কণ্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :