শিমুল মাহমুদ ও মিলটন খন্দকার: [২] রোববার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার সাভার, আশুলিয়ায়, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে বিক্ষোভ করে শ্রমিকেরা। তারা জানান, বাসা ভাড়া, দোকান বাকি, ঘরে খাবার শেষ। এমন পরিস্থিতিতে চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। বেতন না পেলে অনাহারে থাকতে হবে।
[৩] শ্রমিকেরা আরো বলেন, গত ২৪ মার্চ প্রথমবার কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৫ এপ্রিল আবারও চালু হওয়ার পর দুপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসময় ১২ এপ্রিল বেতন পরিশোধ করা হবে, জানায় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সাভারে বেতনের দাবিতে পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ
[৪] রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মার্স ডিজাইন লিমিটেড, ওয়ান ওয়াল্ড ডেনিম ওয়াশিং লিমিটেড, পাইওনিয়ার গামের্ন্টস লিমিটেড, গোল্ডেন স্ট্রিচ লিমিটেড, ত্বো-হা টেক্সটাইল, আদিত্ত অ্যাপারেলস, রাকিব অ্যাপারেলস, সুরাইয়া ফ্যাশন ও খান মেনসন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখায়।
[৫] গামের্ন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য সাভার আশুলিয়ায় ৯টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। তবে তাদের বকেয়া পাওনাদির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ
[৬] মার্চ মাসের বেতনের জন্য সকালে থেকেই ৩ শতাধিক শ্রমিক কারখানার সামনে জড়ো হন। এ সময় কারখানার দরজায় ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কারাখানা বন্ধ নোটিশ দেখতে পান তারা। বেতন দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।
[৭] গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এম এ শাহীন বলেন, মালিকপক্ষের কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সরকার আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। তাই তাদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। যদি এর মধ্যে বেতন না দেয় তাহলে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেওয়া হয়।
গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
[৮] সকাল ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড ও ভোগড়া বাইপাস এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপ ও নিউওয়ে ফ্যাশনস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর মালিকপক্ষ ১৬ এপ্রিল বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলে তারা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেন।
[৯] নিউওয়ে ফ্যাশন লিমিটেডের নিটিং অপারেটর শাহিনা বেগম বলেন, দুই মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। কারখানা কর্তৃপক্ষ দেই-দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছে। এখন আমাদের ঘরে খাবার নেই। এর মধ্যে গাজীপুর লকডাউন করা হয়েছে। এখন আমাদের না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :