নোমান সেলিম : ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো তিনি মারাত্মক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করে সংরক্ষণ করেছেন। গোটা বিশ্বের যৌথ অভিযানে তার পতন ও ফাঁসি হলো। পরে অবশ্য প্রমাণ হয়েছে, জীবাণু অস্ত্র তৈরি ও মজুদের অভিযোগ ভুল ছিলো। সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির আগে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ১২ জন মার্কিন সৈন্য। তারা সবাই সাদ্দামের অতি আপনজন ও বন্ধু হয়ে যান। তারা সব জানতেন, এ কারণেই তারা ফাঁসি কার্যকর করার সময় খুব কেঁদেছিলেন। উইল বার্ডেনওয়ারপার নামের একজন কারারক্ষী সাদ্দাম হোসেনের জীবনের শেষ কয়েকদিনের অজানা কিছু ঘটনা নিয়ে লিখেছেন ‘দ্য প্রিজনার ইন হিজ প্যালেস : সাদ্দাম হোসেন, হিজ আমেরিকান গার্ডস অ্যান্ড হোয়াট হিস্টোরি লিভস আনটোল্ড’ নামে একটি বই। সেই বই ধরেই একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। আর সেখানেই উঠে এসেছে এক সময়ের মার্কিনমিত্র (উপসাগরীয় যুদ্ধের আগের দিনগুলোতে) সাদ্দাম হোসেনের জীবনের শেষ দিনগুলোর অজানা কাহিনি। ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে সাদ্দাম হোসেনের কাছে তার শেষ ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তিনি তার ব্লেজারটি পরার ইচ্ছে পোষণ করেন। রক্ষীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রচ- ঠান্ডায় শরীরটা কাঁপছে। এ অবস্থায় আমার প্রিয় ইরাকবাসী আমাকে দেখলে মনে করবে- আমি ফাঁসির ভয়ে কাঁপছি। এ কথা বলে তিনি হাসলেন। আজ সাদ্দাম হোসেনের সেই জীবাণু অস্ত্র নেই। কিন্তু করোনায় কেড়ে নিয়েছে গোটা বিশ্ববাসীর ঘুম। সবাই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে করোনার বিরুদ্ধে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :