ইসমাঈল ইমু : [২] শনিবার রাত ১২টা ১মিনিটে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে মাজেদকে তওবা পড়ান কারা মসজিদের ইমাম।
[৩] কারা সূত্রে জানা গেছে, ইমাম তওবা পড়ানোর সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করেন আবদুল মাজেদ।
[৪] মাজেদকে ফাঁসি দেয়ার আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে কারাগারে প্রবশে করেন ঢাকা জেলার ডিসি, আইজি প্রিজন্স, অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স এবং সিভিল সার্জন। তাদের সঙ্গে আরও ছিলেন, কারারক্ষী, জেলার, সিনিয়র জেল সুপার, ডেপুটি জেলার।
[৫] ফাঁসির আগে মাজেদের শেষ ইচ্ছা জানতে চাইলে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। সে অনু্যায়ী মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম ডেকে পাঠান কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাত এগারোটায় মাজেদের সঙ্গে শেষ দেখা করেন তার স্ত্রী ও আত্মীয়রা। দেখা করার পর মাজেদের ফাঁ’সির পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া হয়।
[৬] কারাসূত্রে আরও জানা যায়, জল্লাদ শাহজাহান, সহকারী মনির, সিরাজসহ ১০ জনের একটি দল আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করে। জল্লাদ শাহজাহান বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসিও কার্যকর করে ছিলেন।
[৭] গত বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পাঠানো প্রাণভিক্ষা খারিজের চিঠি পৌঁছায় কারাগারে। তখনই ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে শুরু করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :