শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:১০ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনার ভয়ে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক!

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] লম্বা ছুটি ও সেলুন বন্ধ থাকায় মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে খুলনা, বরিশাল সহ সারাদেশে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে ন্যাড়া হচ্ছেন। সেই ছবি পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবার গ্রামের সমবয়সীরা সবাই একসঙ্গে ন্যাড়া হয়ে একসঙ্গে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রবীণরা বলছেন, চৈত্রের তীব্র গরমে মাথা ন্যাড়া করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে গরম কিছুটা কম লাগবে।

[৩] তসলিম আহমেদ তাজ নামে একজন জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগে কয়রা উপজেলার নিজ গ্রামে চলে আসি। এরপর গাড়ি বন্ধের কারণে কর্মস্থলে ফিরতে পারিনি। এখানে কোনো দোকান-পাট খোলা নেই। এছাড়া তীব্র গরমে থাকতে না পেরে চুল কেটে ফেলেছি। আমরা দেখা দেখি গ্রামের সমবয়সী ৪৮ জন একসঙ্গে ন্যাড়া হয়েছে।

[৪]পরিবারের শিশুদের সঙ্গে ন্যাড়া হয়েছেন জেলা পরিষদের ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ রানা। তিনি জানান, গরমের কারণে মা ছোটদের চুল কেটে দিয়েছেন। পরে সেলুন বন্ধ থাকায় আমিও চুল কেটে ফেলেছি। এখন ভালোই লাগছে।

[৪] বরিশাল:

হঠাৎ করেই বরিশাল নগরসহ গ্রামে-গঞ্জে মাথা ন্যাড়া করার হার বেশ বেড়েই চলেছে। রীতিমতো মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক পড়েছে বলা চলে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি লক্ষ করা গেছে। শুধু ন্যাড়া হয়েই ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন না, নানা ভঙ্গিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সেই ন্যাড়া মাথাসহ ছবি পোস্ট করছেন তারা।

করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে এমন দৃশ্যে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হলেও যারা ন্যাড়া হচ্ছেন তারা বলছেন নিছক মনের বাসনা কিংবা ভালো লাগা থেকেই এমনটা করছেন তারা। আবার অনেকে জানিয়েছেন, পাশের বা পরিচিত কারও একজনের ন্যাড়া হওয়া দেখে তিনিও উৎসাহিত হয়েছেন।

এভাবে সম্প্রতি ন্যাড়া হওয়ার মধ্যে তরুণদের পাশাপাশি বরিশালের বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, ছাত্রলীগ নেতা, চাকরিজীবী, শ্রমজীবীসহ অনেকেই রয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই ন্যাড়া হওয়ার পর কোনো না কোনো ভঙ্গিতে ছবি তুলে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
covid

গরমের এমন সময়টাতে প্রতিবছরই গ্রুপ বেধে একই বয়সের তরুণদের মাঝে ন্যাড়া হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। যদিও চলতি সময়ে ন্যাড়া হওয়া তরুণরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। যে যার মতো নিজ বাড়িতে থাকছেন, কবে নাগাদ বাইরে বের হতে পারবেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তা কারো জানা নেই। এমন সুযোগে তাই মাথা ন্যাড়া করে নিচ্ছেন।

বরিশাল সদর উপজেলার লামচরি এলাকার বাসিন্দা রাসেল হোসেন জানান, তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি একটি চাকরি করেন। বর্তমান পরিস্থিতি তাদের বাড়ির সবাই নিজ ঘরেই আছেন। দিনের বেলা ঘর থেকে বের হয়ে উঠান কিংবা বাগানের বাহিরে কোথাও যাচ্ছেন না। বাড়িতেও কেউ আসছে না। এই সুযোগে তারা সমবয়সি কয়েকজন মিলে মাথা ন্যাড়া করেছেন। আর ন্যাড়া করার পর বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম হওয়ায় সামাজিক ‍দূরত্ব বজায় রেখে ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন।

নগরের রুপাতলী এলাকার মেহেদি হাসান বলেন, চুল বড় হয়ে গেছে, সেলুনসহ সবকিছু বন্ধ থাকায় কাটার সুযোগ নেই। তার ওপর গরম বেড়েছে, ফলে মাথা ঘামা, চুলকানোর প্রবণতাও বেড়েছে। তাই এক স্বজনের সহায়তায় মাথা ন্যাড়া করেছি।

এর বাইরে কেউ কেউ চুল পড়া রোধ করার জন্য ন্যাড়া হয়েছেন এবং হচ্ছেন। তবে সবকিছুর পেছনে সেলুন বন্ধ থাকার কারণটাই মুখ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যদিও দীর্ঘদিন সেলুন বন্ধ থাকায় নরসুন্দররা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র শীল।

তিনি বলেন, একমাত্র সেলুন যেখানে সামাজিক দূরত্ব কোনোভাবেই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নরসুন্দরদের সাধারণ মানুষদের কাছে গিয়েই চুল কাটা কিংবা সেভ করার কাজটি করতে হয়। সেখানে যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত থাকেন, তাহলে ওই নরসুন্দরসহ পরে সেলুনে আসা বহু লোক এতে আক্রান্ত হতে পারেন এই চিন্তা থেকে সরকারি নির্দেশনা মেনে গত ২৫ মার্চ থেকে গোটা বরিশাল জেলায় সেলুন বন্ধ হওয়া শুরু হয়, ২৬ মার্চ পুরোপুরি সেলুনগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্র- সমকাল, বাংলানিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়