শাহানুজ্জামান টিটু: [২] করোনা পরবর্তী নেতাকর্মীদের রাজনীতির মাঠে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের পাল্টা প্রশ্ন কেন হতে হবে? বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের নেতাকর্মীরা তো এখনো জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। সক্রিয় করতে সমস্যা হবে না। তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে। বিএনপি তো সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং জনসম্পৃক্ত একটি দল।
[৩] বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, বিএনপির চিকিৎসকরা বিশেষ করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সেবা, পরিচ্ছন্ন অভিযান এই ধরনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই প্রযোজ্য। এবং মানুষ যখন এখান থেকে মুক্তি পাবে তখন দেশের মুক্তির সংগ্রাম সেই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। নেতাকর্মীরা সক্রিয় হবে কারণ মানুষ তার মুক্তির জন্য কখনো পিছপা হয়নি। এই অবস্থার উত্তরণ এরপর আমরা সেই অবস্থার দিকে এগিয়ে নেব। এই মুহূর্তে জনগণের জীবন আমাদের সবচেয়ে প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত।
[৪] বিএনপির এই নেতা বলেন, দীর্ঘ সময় ঘরে অবস্থান করলেও আমরা যোগাযোগ রেখেছি নেতাকর্মীদের সঙ্গে। টেলিফোন স্কাইপির মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে। আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং স্বাস্থ্য সামগ্রী কোথায় কিভাবে যাবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা তদারকি অব্যাহত রেখেছি।
[৫] সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলছি কোন কাজটি আগে করতে হবে সে বিষয়ে নিয়ে এবং এই কাজ গুলোকে আরো বেশি কিভাবে সম্প্রসারণ করা যায় এ কাজগুলো অব্যাহত রয়েছে সারা দেশে।
[৬] আমির খসরু বলেন, রাজনীতি এবং অর্থনীতির এই দুটোকে আলাদা করা যাবে না। এমনকি সমাজকেও না। সবগুলো মিলেই তো একটা। এগুলোতে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। মানুষের জন্য থাকতে হবে, মানুষের জন্যই হতে হবে। রাজনীতি অর্থনীতি সমাজনীতিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। মানুষের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে।
[৭] তিনি বলেন, কিছু সুবিধাবাদী লোকে পেট চালাবে, দেশ দখল করবে এটা বেশিদিন চলবে না। এটা করো না চেয়ে আরো বেশি খারাপ।কারণ স্বাভাবিকভাবে মানুষের চিন্তার প্রতিফলন হচ্ছে না।
আপনার মতামত লিখুন :