লাইজুল ইসলাম : [২] শুক্রবার (১০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিট জরুরি ভিত্তিতে খালি করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
[৩] ডা. হোসাইন ইমাম ইমু বলেন, এই মুহুর্তে হয়তো বার্ন ইউনিটে ৩০০-৪০০ রোগি রয়েছে। তাদের সবাইকে এক সঙ্গে আমরা নিতে পারবো না। পর্যায়ক্রমে রোগিদের স্থানান্তর করা হবে। সকাল ৯টা থেকে রোগি স্থানান্তর শুরু হবে।
[৪] শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট সহকারি পরিচালক বলেন, তবে বেশি অসুস্থ, যেমন আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউয়ের রোগিদের আগে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। বেশ কিছু চিকিৎসক ও নার্স বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন। এছাড়া, ইতমধ্যে আমাদের হাতে রোগি আছে। এরওপর এত রোগি এক সঙ্গে নেয়াটাও একটু কঠিন ও চিন্তার বিষয়।
[৫] শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের এসোসিয়েট প্রফেসর মো. রবিউল করিম খান পাপন বলেন, ঠোট কাটা-নাক কাটা বা এই জাতীয় রোগি যাদের ইমার্জেন্সি অপারেশন প্রয়োজন নেই তাদের আপাতত বাসায় পাঠানো হতে পারে। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে সব রোগিদের নিয়ে আসা হবে।
[৬] ডা. রবিউল করিম বলেন, বার্ন ইউনিট থেকে এত রোগি আমরা নিয়ে আসবো। কিন্তু সেখানে কর্মরত চিকিৎসকদের কি হবে। তারা কি আমাদের এখানে ডেপুটেশনে চলে আসবে। নাকি করোনা রোগিদের ট্রিটমেন্ট দিবে। এখনো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
[৭] এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বার্ন ইউনিটের ভবনকে করোনা রোগিদের জন্য প্রস্তুতে কাজ শুরু করেছে। ইতমধ্যে নিতিনির্ধারণী কার্যক্রম শেষ হয়েছে। রোগিদের স্থানান্তরের পরপরই এই কাজে হাত দিবে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :