নিউজ ডেস্ক : [২] যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে দেশে একদিনেই অন্তত ৫ হাজার মানুষের কোভিড নাইনন্টিন পরীক্ষা করা যাবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাড়পত্রে এমন সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজন মেশিনের উপযোগী রি-এজেন্ট। এ পদ্ধতিতে ফলাফল পেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। সরকারের সর্বোচ্চ মহলের অগ্রাধিকার ছাড়া এমন সুযোগ অধরাই থাকবে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সময় টিভি

[৩] সামাজিক সংক্রমনের চতুর্থ ধাপে বাংলাদেশ। এই ধাপেই প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার টেস্টের প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

[৪] সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিশ্ব ব্যাপী সমাদৃত যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিনে কোভিড ১৯ এর পরীক্ষার ছাড়পত্র দেয়ায় বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও।

[৫] জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এই প্রসিডিওরটা এফডি অ্যাপ্রুভ পেয়েছে। গ্লোবালি এটি রিকোগনাইজড করছে।

[৬] বর্তমানে দেশের জেলা উপজেলায় মোট ২৫০টি জিন এক্সপার্ট কার্যক্ষমে মেশিনে একদিনে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষকে কোভিড ১৯ এর পরীক্ষা করানো সম্ভব।

[৬] বিএসএমএমইউ মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ বলেন, আপাতত মেশিন কেন্দ্রিক কোনো ইনভেস্টভেন্ট সরকারের করতে হবে না।

[৭] কোন ধরনের প্রশিক্ষণ, জনবল নিয়োগের ঝামেলা ছাড়াও সংক্রমণের ঝুকি কম থাকায় বর্তমানে আমেরিকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে।

[৮] এ মেশিনের উপযোগী রি-এজেন্ট যত দ্রুত আনা যাবে তত দ্রুতই শুরু করা যাবে ব্যাপকহারে পরীক্ষা বলে জানান জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম।

[৯] জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে প্রতি মাসে ২ লক্ষাধিক মানুষের যক্ষ্মা শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়। একই মেশিনে পিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে মাসে অন্তত দেড় লাখ মানুষের কোভিড ১৯ এর পরীক্ষা সম্ভব বলে জানিয়েছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।