ইস্রাফিল হাওলাদার: [২] যশোরে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় নড়াইলের নরাগাতী থানার ওসির স্বামী মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৩] এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার অভিযোগ, অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না দেওয়ায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেছেন।
[৪] হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী ভর্তির পর চিকিৎসক চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন। তবে, খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি যে কারণে তিনি মারা গেছেন।
[৫]হাসপাতাল ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়,(৯ এপ্রিল)সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ৮টা ২০ মিনিটে করোনারি কেয়ার ইউনিটের ওয়ার্ডে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মারাযান।
[৬]নড়াইলের নড়াগাতি থানার ওসি ইনসপেক্টর রোকসানা খাতুন জানান, তার স্বামী আহসানুল ইসলাম বাংলাদেশে রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন। তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করে তার বুকে ব্যথা ও দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এসময় তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে ফোন দিয়ে তার স্বামীকে হাসপাতালে পাঠান। এরপর যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে ভর্তি করিয়ে করোনারি কেয়ার ইউনিটের সিসিইউ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেইসময় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক তার ওষুধ লিখে পায়ের কাছে স্লিপ রেখে চলে যান। শ্বাসকষ্ট হলেও তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি।
[৭]এসময় তার স্বামী ফোন করে চিকিৎসা অবহেলার কথা জানান। পাশের বেডের রোগীর স্বজনারও তাকে ফোনে চিকিৎসাসেবার অবহেলার কথা জানান। পরে যশোরের পুলিশ সুপার ফোনে তাকে স্বামীর মৃত্যুর খবরটি জানান।
[৮]ওসি এ অভিযোগ বলেন, পুলিশ দেশে চলমান মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে কাজ করছে। আর একজন পুলিশ সদস্যের পাশে দাঁড়াননি চিকিৎসকরা। তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিকিৎসা অবহেলায় স্বামীর মৃত্যু ও দায়িত্ব অবহেলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
[৯]পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দায়িত্বরত চিকিৎসকের এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলিপ কুমার রায় বলেন, করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর চিকিৎসক তাকে দেখে চিকিৎসাপত্র দেন। হাসপাতাল থেকে যা সরবরাহ করার তা রোগীকে দেয়া হয়। কিন্তু বাইরে থেকে ওষুধ আনতে হবে রোগীর পাশে তার কোনও লোক না থাকায় সেটা আনা হয়নি। তাছাড়া রোগী মাত্র ১০মিনিট সময় দিয়েছে। ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
[১০]অক্সিজেন কেন দেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, অক্সিজেন দেওয়ার দায়িত্ব নার্সের। কেন তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়নি তা এখনও সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে জানাননি। সূত্র:বাংলা ট্রিবিউন ও দেশ রূপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :