ইমরুল শাহেদ : [২] বেশ কয়েক মাস বিলম্বের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেেিন্সংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় বৈঠকটি। ইয়ন, ডিএনএ
[৩] গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেওয়ার ব্যাপারে তারা একমত হয়েছেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধরত দেশগুলোর প্রতি কোভিড-১৯-এর কারণে যেসব দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার সঙ্গে তারা একমত। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রয়োজন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
[৪] কিন্তু মহাসচিব যে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো সমর্থন ব্যক্ত করা হয়নি। এ ব্যাপারে যেমন কোনো সিদ্ধান্ত-প্রস্তাব গৃহীত হয়নি তেমনি এই সংকট নিয়ে কোনো যৌথ উদ্যোগও দেখা যায়নি।
[৫] বৈঠকে বিশ্ব সংহতি নিয়ে চীন বলেছে, কেউই এই সংহতির নামে কেউ বলির পাঁঠা হতে পারে না। তবে করোনাভাইরাসের তথ্য গোপন রাখার চীন বিশ্বের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। করোনার প্রথম শনাক্তের ঘটনা ধরা পড়ে চীনের উহানে।
[৬] চীনের জাতিসংঘ দূত জ্যাং জুন বলেন, ‘এই বিশ্ব সংকট মোকাবেলার জন্য সংহতি, সহাযোগিতা, পারস্পরিক সমর্থন ও সহায়তা প্রয়োজন। একজন ভিক্ষুক বা প্রতিবেশী - কাউকে বলির পাঁঠা ভাবাটা আমাদেরকে অস্তিত্ব বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দেবে। আমাদেরকে দোষারোপ ও রাজনীতিকরণের পথ পরিহার করতে হবে।’
[৭] যুক্তরাষ্ট্র ভাইরাসটির উৎপত্তির বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য উপাত্ত শেয়ার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি কেলি ক্রাফট বলেন, ‘পূর্ণ স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়ে আজ আবারও বলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত যথাসময়ে জানান দিতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :