শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ০১:১২ রাত
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ০১:১২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুলশীতে ২০০ মানুষের জামাত, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের হানা মসজিদে-মাজারে

চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রতিবেদন : পবিত্র শবেবরাতের রাতে বিশেষ ইবাদতের জন্য অতিরিক্ত মুসল্লির সমাগম ঘটে চট্টগ্রাম নগরীর মসজিদগুলোতে। এবার করোনা নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব মসজিদে সমাগম হতে দেওয়া হয়নি। নগরের মসজিদে মসজিদে নজরদারি করেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদের পাশাপাশি মাজারগুলোতেও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা হানা দেন। এতে সহযোগিতা দেয় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুসলমানদের জন্য পবিত্র রজনী শবেবরাতের নামাজ ঘরে বসে আদায় করতে বলা হয়েছে। মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ নিয়মিত ওয়াক্তের নামাজে ৫ জন মসজিদে হাজির থাকতে পারবেন। জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন হাজির থাকতে পারবেন।

জনসমাগম ঘটিয়ে মুচলেকা দেন জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সোলায়মান এফসিএ। জনসমাগম ঘটিয়ে মুচলেকা দেন জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সোলায়মান এফসিএ।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, আমানত শাহ মাজার, গরীবুল্লাহ শাহ মাজার, শাহ সুফি সৈয়দ বদনা শাহ মিয়া মাজারসহ খুলশী, লালখান বাজার, চান্দগাঁও, পাচলাইশ, চকবাজার, নাসিরাবাদ এলাকার মসজিদগুলো পরিদর্শন করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সব মাজার ও মসজিদ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আতুরার ডিপো এলাকায় একটি ঘরে জমায়েত হয়ে নামাজ পড়ছিল কিছু লোক। এটি বড়ই ঝুঁকির কাজ। করোনাভাইরাস মহামারিতে জমায়েত হওয়া বড়ই বিপদের। আমরা এটা বোঝানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আমানত শাহ মাজার এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সিএমপির এডিসি (উত্তর) এবং কোতোয়ালী থানার ওসির নেতৃত্বে সিএমপির বিশেষ টিম কাজ করছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, মাজারে যেন লোকজন জমায়েত হতে না পারে সে জন্য ভক্তদের বুঝিয়েছি। কঠোর অবস্থানে ছিল পুলিশ। কারণ বর্তমান সময়ে কঠিন ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার আসরের সময় পশ্চিম খুলশীর জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি মসজিদ থেকে মানুষ নামাজ আদায় করে বের হতে দেখা যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে দুই শতাধিক মানুষের সমাগম ঘটিয়ে সেখানে জামায়াতে নামাজ আদায় হচ্ছিল বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেন মসজিদের ইমাম মো. ফরহাদ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদেশ অমান্য করার জন্য জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সোলায়মান এফসিএ এবং ইমাম মো. ফরহাদ মুচলেকা দেন।

আমানত শাহ মাজারের মোতোয়াল্লী শওকত আলী খান শাহীন বলেন, মাজারে মানুষ যেন না আসে সে জন্য কমিটির পক্ষ থেকে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপরও পুলিশ এবং প্রশাসনের বিশেষ তদারকি ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়