রাশিদ রিয়াজ : [২] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি বলে গোল্ডম্যান স্যাক্স মন্তব্য করেছে। এদিকে, ভারতীয় রেটিং সংস্থা ইকরা মনে করে, চলতি অর্থবছরে দেশটির অর্থনীতির বৃদ্ধি কমপক্ষে ২% থাকবে। গত বছর ভারতের জিডিপি’র আকার ছিল ৪.৭ শতাংশ। করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাবেই এবছর তা আরো কমছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] সংস্থাটির মতে, করোনা দুর্যোগ থেকে অর্থনীতিকে টেনে তোলার জন্য কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত যা যা আর্থিক সুবিধা ঘোষণা করেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত। তবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি আরও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে বলেই মনে করে গোল্ডম্যান। এর আগে, স্টেট ব্যাংক, মুডিজ এবং ইকরার মতো সংস্থাগুলিও চলতি অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি ৩ শতাংশের নীচে নেমে যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। তবে, অন্যদের মতো গোল্ডম্যান স্যাক্সও মনে করে, সেপ্টেম্বরের পর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৪] চলতি বছরে গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়বে এবং বিশ্বের মোট জিডিপি এ বছর ১.৮% সংকুচিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ৬.২% সংকুচিত হবে বলে মনে করে গোল্ডম্যান! এ দিকে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানি জানুয়ারি-মার্চ পর্বে ১.৯% সংকুচিত হয়েছে এবং এপ্রিল-জুন পর্বে আরও ৯.৮% সংকুচিত হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের অন্তত আধ ডজন অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা। বিজনেস স্ট্যান্ডার্
[৫] ভারতীয় অর্থনীতি প্রসঙ্গে গোল্ডম্যান স্যাক্সের রিপোর্টে সংস্থার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অ্যান্ড্রু টিলটন বলেন, ‘আমাদের অনুমান, ২১ দিনের লকডাউন সরকার দফায় দফায় শিথিল করবে এবং অঞ্চল ভেদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি বেশি দিন বহাল থাকবে। ফলে, নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগামী এক-দেড় মাসে অনেক কমে আসবে।’ এনডিটিভি
[৬] বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রধান বাধা কেবল আর্থিক ক্ষেত্রেই সীমিত নয়, কলকারখানা-ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার ‘ফিজিক্যাল কন্সট্রেইন্ট’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমনটা আর দেখা যায়নি। গোল্ডম্যানের মতে, সবচেয়ে বেশি (৯৫%) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের বিনোদন, হোটেল-রেস্তেরাঁ এবং পর্যটন ক্ষেত্র। এর পরেই রয়েছে শিক্ষা পরিষেবা (৮০%)।
[৭] ভারতীয় রেটিং সংস্থা ইকরার মতে, শিল্প-কলকারখানায় এবং পরিষেবা উভয় ক্ষেত্রেই উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান রীতিমতো সংকুচিত হতে শুরু করেছে মার্চ মাস থেকেই। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বেতন ছাঁটাইয়ের ফলে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে, বাজারে চাহিদা কমবে এবং অর্থনীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :