শিরোনাম
◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির

সমীরণ রায় : [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষা, বিশেষ করে নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে মালিকপক্ষ ও সরকারকে।

[৩] তিনি বলেন, করোনার এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত অবাধ তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ ও প্রচার এটি সর্বজনবিদিত। তাছাড়া ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে পৃথিবীর কোনও দেশেরই এই সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সামর্থ্য ও প্রস্তুতি ছিল না। তাই এক্ষেত্রে ঘাটতি ও দুর্বলতা থাকাই স্বাভাবিক। এ কারণেই তথ্য গোপন নয়, তথ্য প্রচারে প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আরও বেশি অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।

[৪] তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষা ও বিশেষ করে নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তি ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই নিরলস কাজ করছেন সংবাদকর্মীরা। বিশেষ করে ফ্রন্টলাইন সাংবাদিকদের অনেককেই ন্যূনতম সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে, যা তাদের নিজেদের ও সামাজিক সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সংবাদক্ষেত্র ও সংবাদকক্ষের চরিত্র বিবেচনায় একজন আক্রান্ত হলে তা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও আছে। ইতোমধ্যেই অন্তত একজন সংবাদকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই চ্যানেলের আরও প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মী হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। এ অবস্থায় অবিলম্বে গণমাধ্যমকর্মীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

[৫] তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যম তার কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাপ্তাহিক পালা বিন্যাস করে ছুটি বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মাস্ক ও হাত জীবাণুমুক্তকরণ উপাদান প্রদান, অফিসে প্রবেশকালীন সময়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া, সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছুদিন বাসায় বসে কাজের সুযোগ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম মালিকদের সাধুবাদ জানাচ্ছে টিআইবি। তবে কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতে তা পর্যাপ্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

[৬] ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেন গণমাধ্যমের কোনও পর্যায়ের কর্মীর নিজের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি না হয়, তা মূলত মালিকপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে। উচিত হবে, সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে তা সরবরাহ নিশ্চিত করা। ঝুঁকি এড়াতে নিজস্ব পরিবহনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মস্থল এবং সংবাদ সংগ্রহের স্থানে যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সম্মিলিত উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থায় সংবাদ সংগ্রহের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মালিকদের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

[৭] তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিকরা তাদের মাসিক বেতনের বাইরে প্রভিডেন্ড ফান্ড, গ্র্যাচুইটি বা স্বাস্থ্যবিমার মতো সুবিধা পান না। নিয়মিত বেতন ভাতাও পান না অনেক গণমাধ্যমকর্মী এবং মালিকপক্ষের অনেকেই বেশ সুকৌশলে দীর্ঘদিন সংবাদকর্মীদের বঞ্চিত করে এসেছেন। করোনা সংক্রমণের বেশ আগে থেকেই খরচ কমানোর অজুহাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক ছাঁটাইও চলছিল। এই বাস্তবতার কোনও পরিবর্তন যে হয়নি, তার প্রমাণ এই দুর্যোগকালেও একটি টেলিভিশন বেশকিছু কর্মী ছাঁটাই করেছে। কোনও কোনও চ্যানেলে এখনও নিয়মিত বেতন দেওয়া হয় না। অথচ এটি অজানা নয় যে, বেশিরভাগ গণমাধ্যমের বিনিয়োগে রয়েছে ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী। এই দুর্যোগ তাদের জন্য নিজেদেরকে সামাজিক দায়িত্ববোধসম্পন্ন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা, পেশাগত সুরক্ষা ও নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন প্রণোদনা নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষকেই মূল দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে মালিকদের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

[৮] তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে গণমাধ্যমকে জরুরি সেবাখাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবাদকর্মীদের নিয়মিত বেতনভাতা ও প্রণোদনা নিশ্চিতের জন্য রফতানিমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে ঘোষিত স্বল্প হারে ঋণ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি পেশাদারি মনোভাব নিয়ে গণমাধ্যম মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো), সম্পাদক পরিষদ ও এডিটরস গিল্ড এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে।

[৯] বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়