শাহীন খন্দকার: [২] দেশে নতুন করে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছেন- ১১২, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মারা গেছেন ২১ জন। ঢাকায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮৫ জন রোগী। নতুন যারা শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৭০, নারী ৪২ জন। নতুনদের মধ্যে ঢাকায় ৬২ জন। ১৩ জন নারায়ণগঞ্জে। পুরো বাংলাদেশের অন্যান্য শহরে বাকিরা। দশ বছর বয়সের নিচে ৩ জন। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে ৯ জন।
[৩] ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন ২৫ জন। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন ২৪ জন। ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন ১৭। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন ২৩ জন, ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১ জন।
[৪] বড় শহরগুলোতে ঢোকা ও বের হওয়া নিষেধ দোকানপাট সন্ধ্যের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ বাংলাদেশে ২১টি জেলায় করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া গেছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এপ্রিল মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[৫] কারণ সামাজিক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তেমনি সেটা ঠেকিয়ে রাখার জন্য ছুটি লকডাউনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তারপরেও রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে হবে। গত ৫ এপ্রিল আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান সংক্রমণের তৃতীয় স্তরে প্রবেশে করেছে বাংলাদেশ। বিবিসি বাংলা
[৬] কারণ ঢাকার টোলারবাগ ও বাসাবো, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর (শিবচর), গাইবান্ধা (সাদুল্লাপুর)-এসব এলাকায় 'ক্লাস্টার' বা গুচ্ছ আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে মার্চ মাসের শেষের দিকে তিনি জানিয়েছিলেন, সীমিত আকারে কমিউনিটিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বলে তারা দেখতে পাচ্ছেন।
[৭] রাজধানীর বাইরের অনেকগুলো জেলাতেও কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। বুধবার আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশ এখন সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের মাঝামাঝিতে রয়েছে। ভাইরাসটি কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়লেও সেটা এখনো ক্লাস্টার আকারে রয়েছে। সংক্রমণের প্রথম স্তর বলা হয়ে থাকে যখন দেশে কোন রোগী শনাক্ত না হয়। দ্বিতীয় স্তর বলা হয়, যখন বিদেশ ফেরতদের মাধ্যমে রোগী শনাক্ত হয়। তৃতীয় স্তর হচ্ছে সীমিত আকারে সমাজে রোগটি ছড়িয়ে পড়া। তথ্য সুত্র বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :