ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে। প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে সেনা টহল, মাইকিং করা হচ্ছে।
[৩] সকালে মিরপুর, লালবাগ, ধানমন্ডি, শাহবাগ, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় সেনাবাহিনী বরিশালে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ মানুষদের সচেতনতা বৃদ্ধি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি পিরোজপুর, মুন্সিগঞ্জ, কক্সবাজারসহ ৬২ জেলায় তৎপর ছিল সেনাবহিনী। এছাড়া বুধবার গাজীপুর জেলা পুলিশকে মাস্ক ও গ্লাভস হস্তান্তর করা হয়েছে বাহিনীর পক্ষ থেকে।
[৪] সেনা সদস্যরা হাতে হাতে সচেতনতামূলক প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন। ‘আতঙ্ক না ছড়াই, সতর্ক থাকি, সাহায্য করি’ কিংবা ‘ঘন ঘন হাত ধুই করোনা থেকে নিরাপদ রই।’ তাদের টহল গাড়িতেও দেখা মিলছে ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করুন’ লেখা স্টিকার।
[৫] সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে করোনার ভয়াল থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে এসব সেনা সদস্যরা নিয়মিত টহল জোরদার করে সড়কে বা অলিগলিতে সাধারণ মানুষের জটলা ভেঙে দিচ্ছেন। ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনছেন। গাড়ি থামিয়ে কথা বলছেন তাদের সঙ্গে। নির্ধারিত পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে সড়কে বের হওয়া গাড়ির চারপাশে তাদের জীবাণুনাশক ছিটানোর দৃশ্যও চোখে পড়েছে হরহামেশাই।
[৬] দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে সেনাবাহিনীর সামাজিক কার্যক্রম ‘সিমিক’র সুনাম রয়েছে। এবার নিজ দেশে একইভাবে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। এতে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের আস্থা আর ভালোবাসার অপর নাম হয়ে উঠেছেন সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা।
আপনার মতামত লিখুন :