শরীফ শাওন : [২] ট্রিপল সেভেন ও ডেকো কারখানার শ্রমিকরা জানান, আমাদের ব্যাংক ও বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই। বেতনের বিষয়ে কারখানা থেকেও কোন ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি।
[৩] জনসমাগম এড়াতে সরকারের সাধারন ছুটির স্বাথে সমন্বয় করে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের আহ্বান জানায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। এসময় সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কারখানা মালিকদের বলেন, ১৬ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন দিতে হবে। অনেকেই বিষয়টিকে সমর্থন জানালেও নানা প্রতিবন্ধকতার কথাও বলছেন তারা।
[৪] ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের বেতনের তালিকা তৈরি সম্ভব হয়নি। ব্যাংক খুলবে ১৫ তারিখ, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে আরও ১০ দিন। ২৫ এপ্রিল বেতন দিতে পারব।
[৫] এজে গ্রুপ, নাইন স্টার অ্যাপারেলরসসহ কয়েকটি কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। অধিকাংশই নগদ বেতন নেন। যাদের বিকাশ একাউন্ট আছে, সেগুলো সংগ্রহ করছি। তবে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক কর্মীকে বিকাশে বেতন দেয়া জটিল প্রক্রিয়া হবে।
[৬] বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, শ্রমিকদের জন্য অন্তত তিন মাসের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। সবার আগে তাদের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মালিকপক্ষ ও সরকারের যৌথ সমন্বয় প্রয়োজন।