আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল : [২] পরিবার জানায়, মেমোরী কার্ড বিক্রি ও টাকা চুরির স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার জেরে বন্ধুকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
[৩] জানা যায়, নিহত শামীমের কথিত বন্ধু হাসান এক বছর আগে টাকা চুরির ঘটনার স্বীকারোক্তি মোবাইলে রেকডিং করেছিলো শামীম।
[৪] সেই চুরিকৃত টাকা ফেরত না দিলে মেমোরী চুরি ও টাকা চুরির রেকর্ডিং স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো নিহত যুবক।
[৫] চুরিকৃত টাকা আপোষে ফেরত দিতে শামীমকে ডেকেছিলো তাদের বাড়ী থেকে কিছুটা দুরে এক ভুট্রা ক্ষেতে একই এলাকার বাল্য বন্ধু হাসান।
[৬] তবে বিরোধ বাধে নয় হাজার টাকার বদলে পচিশশত টাকায় চুরির সমাধান করা। হত্যার স্বীকার শামীম পশিচশত টাকায় মানবে না। আর চোর বন্ধু হাসান সেই টাকার বেশি দিতে পারবে না। ঘটনা ধামা চাপা দিতেই বাধ্য হয়ে শামীমকে শ্বাস রোধে হত্যা করে ভুট্রা ক্ষেতে ফেলে রাখে হাসান।
[৭] স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইলিয়াস আলী বৃহস্পতিবার(৯এপ্রিল) সকালে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শামীম(১৮) আমার এলাকার শামসুল আলমের ছেলে। হত্যকারী হাসানও (২০) একই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ চোথা মিয়ার ছেলে।
[৮] দুজনেই তারা পৃথক ঢাকা ও ঠাকুরগাঁও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত।
[৯]পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গত বুধবার(৮এপ্রিল) সন্ধায় নিখোজ হয় শামীম। পরে অনেক খোজাখুজি করার পর রাত এগারোটায় ভুট্রা ক্ষেত থেকে উদ্বার করা হয় শামীমের নিথর দেহ। হত্যা করে স্বাভাবিকভাবে ঘুরছিলো হাসান। লাশ উদ্বারের পর সন্দেহজনক ভাবে ধরা হয় হাসানকে।
[১০] স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল ও থানা পুলিশের সামনে হত্যার কথা ও পূর্বের সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে হাসান বলেন, আমি একাই শামীমকে মাটিতে মাথা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার হাত পা বেধে রাখি।
[১১] স্বীকারোক্তির পরে তাকে আটক করে থানায় থানা পুলিশ। নিহতের লাশ উদদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[১২] ঘটনার তদন্তকারী রাণীশংকৈল থানার পরিদর্শক(তদন্দ) খায়রুল আনাম ডন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, হাসানকে হত্যা মামলায় ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা : ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :