জেরিন আহমেদ : [২] প্রাথমিকভাবে মনে হয় ফ্লু হয়েছে। কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি যখন বুঝতে পারে যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ততক্ষণে সম্ভবত আরও কিছু লোককে তিনি সংক্রমিত করে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব জরুরি হয়ে পড়ে। করোনা ভাইরাসের কমন উপসর্গ জ্বর ও শুকনো কাশি। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, শুকনো কাশিসহ গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। খুব কম লোকেরই ডায়রিয়া, বমি এবং নাক দিয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে।
[৩] তবে, যদি আপনি সাধারণ ফ্লু এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য করতে চান তখন বলতে হবে- প্রধান উপসর্গ শুধুই শুকনো কাশি। ঋতু পরিবর্তনে যে সমস্যা দেখা দেয়, সেই কাশি শুকনো হয় না। চিকিৎসকদের মতে, এই সংক্রমণে শুকনো কাশি দেখা দেয়। সাধারণ ফ্লুতে শ্লেষ্মা জড়ানো কাশি থাকে।
[৪] শুকনো কাশি কেমন হয়?
* শুষ্ক কাশি একটানা হতে থাকে।
* এই জাতীয় কাশি গলা, চুলকানি বা জ্বলজ্বলে জ্বলন সৃষ্টি করতে পারে।
* শ্বাসতন্ত্রের ফোলাভাব বা জ্বালা প্রায়শই শুষ্ক কাশির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
* ভেজা কাশির পরিবর্তে ফ্লু নিরাময়ের পরে শুকনো কাশি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে।
* শুকনো কাশি সুস্থ হতে সময় নেয়। কখনো কখনো এটি একটি দীর্ঘ সময়ও লাগে।
ভেজা কাশি-
* ভেজা কাশিতে শ্লেষ্মা থাকে।
* নাক ও গলা থেকে শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসতে পারে।
* মূলত শ্লেষ্মা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক উপাদান।
* অনেক ক্ষেত্রে ক্লান্তি, মাথা ব্যথার মতো লক্ষণগুলিতেও ভেজা কাশি দেখা যায়।
[৫] তবে শুষ্ক কাশি মানেই করোনাভাইরাসের লক্ষণ নয়। তবে যদি আপনার শুকনো কাশির পাশাপাশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়ার সমস্যা হয় বা আপনি সম্প্রতি যদি কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে বা বিদেশ সফর করে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, নিউজ ১৮, ডেইলি মেইল
আপনার মতামত লিখুন :