শিরোনাম
◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনৈতিক একাত্মতা না থাকলেও এই দুর্যোগে কোনো অপরাজনীতি হচ্ছে না

আসিফ আকবর : আমাদের কুমিল্লা ফ্রেন্ড সার্কেলে গপ্পো মারা একটা শিল্প যদি কেউ না ধরতে পারে। ধরা পড়ে গেলে এই গপ্পোটা ডালপালা মেলবে, আপনি ধৃত গপ্পিষ্ট হিসেবে একটা উপাধি পাবেনই। এই উপাধিটা লোকাল বিমানবাহিনী লেভেলে বলা হয় গপের জাম্বো জেট। মিথ্যা বলা আর তেলমারা চামচাদের কোনো ক্ষমা তারা করে না। অতীতে ঢাকা থেকে আগত এ রকম বহু স্মার্ট জাম্বোজেট ভূপাতিত হয়েছে আমাদের পারসোনাল সীমান্তে। লজ্জাবিহীন এই জেটগুলো বারবার ঘুরেফিরে ভূপাতিত হয় আমাদেরই মহল্লায়। ভোরে জরুরি কাজে বের হতে হয়েছে, গাড়িতে অকটেন নেই। লাল দাগ ঝুলছে, রিস্কি একটা অবস্থা। পাম্পে ঢুকে একজন কর্মী পেলাম, সে কোনোভাবেই তেল দেবে না। নেমে অনুরোধ করলাম, সে বলে আমি অকটেন নয়, ডিজেল দিই। মহামুসিবতে পড়ে গেলাম, দেখলাম অকটেন মেশিনের রিডিং চালু। প্রাচ্য কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে তেলের পাম্পে কর্মী থাকলেও ইউরোপ-আমেরিকায় এই সুযোগ নেই, নিজেকেই পাম্প কর্মী হতে হয়। পুরনো ট্রেনিং অনুযায়ী অকটেন রিফিল করলেও টাকা দেওয়ার লোক পেলাম না। প্রয়োজনীয় তেল লোড করে চলে আসলাম, একটা অনাকাক্সিক্ষত চৌর্যবৃত্তিতে জড়িয়ে গেলাম খামোখাই। মাত্র ছয়শ টাকার তেলের জন্য এখন অনুশোচনায় ভুগছি। টাকা পৌঁছে যাবে দ্রুত, তবে আমার প্রয়োজন আর সার্ভিসের গরমিলটা ঘুম হারাম করে দিলো।
চারদিকে করোনা আতঙ্ক, ভবিষ্যৎ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। আল্লাহর রহমতে কিছু হালকা স্বভাবজাত চোর ছাড়া দেশে গুরুতর কোনো খাদ্য সঙ্কট নেই। না খেয়ে মারা গেছে এমন কোনো ঘটনা দেশে এখনো ঘটেনি। রাজনৈতিক একাত্মতা না থাকলেও এই দুর্যোগে কোনো অপরাজনীতি হচ্ছে না। এটাই বাংলাদেশ, এটাই আমাদের সামাজিকতা, এটাই আমাদের শক্তি, বাংলাদেশ এখন পরিণত। আশার কথা ক্যামেরাবিহীন স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। একটু আড্ডা ছাড়া চলাও মুশকিল, এ জন্য চোর পুলিশ খেলাও চলছে মহল্লায় মহল্লায়, উভয়পক্ষই বিজয়ী। একটা ডাবল ইঞ্জিন স্পিডবোট কিনে পতেঙ্গায় জেটিতে বেঁধে রেখেছি। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই গভীর সমুদ্রে ঘুরতে যাবো, তখন সাগরে হালকা ঝড়ো আবহাওয়া থাকতে হবে এবং অবশ্যই যাবো। এই বোটের মালিক আমি, এটাও একটা গপ্পের জাম্বোজেট। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়