শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হার্ড ইমিউনিটি বা পাল-প্রতিষেধ : কী ও কীভাবে?

মাসুদ রানা : বাংলায় নাম দিলাম ‘পাল-প্রতিষেধ’, যার ইংরেজি হলো হার্ড ইমিউনিটি, কিন্তু এর অর্থ কী? পাল-প্রতিষেধ হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে পালগতভাবে (ভেড়ার পাল, গরুর পাল, মানুষের পাল ইত্যাদি) সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা বা গড়ে উঠা। অর্থাৎ এটি গড়ে উঠতে পারে প্রাণীর প্রচেষ্টার ফল স্বরূপ অথবা এটি উঠতে পারে প্রাণীর দেহে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিযোজন ও পরিবর্তন বা বিবর্তন প্রক্রিয়ায়। সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবে রোগটি একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে অতি দ্রুততার সঙ্গে ছড়ায় এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে তাদের মধ্যে ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির ভৌত নৈকট্যের কারণে। এটি অনেকটা একটি দুষ্ট শিশুর এক কোল থেকে অন্য কোলে লাফিয়ে চলার মতো। সংক্রামক ব্যাধির এ দুষ্ট খেলার শেষ সম্ভব নিচে লিখিত তিনটি উপায়ে।
১. যদি ব্যক্তিদের ভৌতভাবে বিচ্ছিন্ন করা যায়, সংক্রামক রোগটি সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তির কোলে পৌঁছতে পারে না। ফলে রোগটি সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যেই মরে যায়, যদিও মরার আগে ওই ব্যক্তিটিকেও মেরে যেতে পারে। ২. যদি জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ ব্যক্তির শরীরে ওই দুষ্ট সংক্রামক রোগটির বিরুদ্ধে সঠিক প্রতিষেধক প্রবিষ্ট করানো যায়, ব্যক্তিদের মধ্যে ভৌত নৈকট্য থাকা সত্ত্বেও সেটি সংক্রমিত ব্যক্তির কোল থেকে লাফিয়ে প্রতিষিদ্ধ ব্যক্তির কাছে গেলেও কোলে স্থান পেয়ে মৃত্যুবরণ করে। ৩. উপরের দুই উপায়ের বাইরে তৃতীয় একটি উপায় আছে, যা প্রাকৃতিক প্রতিষেধ। প্রাকৃতিক প্রতিষেধ আসে তখন, যখন ব্যক্তিদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে জীবসত্তা বিকশিত হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং তা ক্রমশ পাল রূপ পরিগ্রহ করে।
প্রাক-বৈজ্ঞানিককালে সংক্রামক ব্যাধির সমাপ্তি ঘটতো বহু প্রাণহানির মধ্য দিয়ে প্রথমত : ভৌত বিচ্ছিন্নতা ও প্রাকৃতিক পাল-প্রতিষেধের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বের বহু সংক্রামক ব্যাধিকে নির্মূল করা হয়েছে প্রকৌশলিত পাল-প্রতিষেধের মাধ্যমে। প্রকৌশলিত পাল-প্রতিষেধ বিকশিত করতে মানুষের সময় লাগলেও শেষ পর্যন্ত মানুষ সফল হয়। তাই প্রকৌশলিত পাল-প্রতিষেধ বিকশিত তথা আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত ভৌত বিচ্ছিন্নতা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তবে যে জনগোষ্ঠীতে ভৌত বিচ্ছিন্নতা সম্ভব নয়, সেখানে দু’টি ঘটনা ঘটতে পারে। ১. জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশের এমনকি সম্পূর্ণটির মৃত্যু হতে পারে, যেভাবে অতীতে অনেক সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে। ২. জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্রুতই প্রাকৃতিভাবে পাল-প্রতিষেধ গড়ে উঠতে পারে এবং অনেক লোকক্ষয়ের পরও ওই জনগোষ্ঠীটি টিকে যেতে পারে। আজকের বিশ্বে একটি জনগোষ্ঠী সংক্রামক ব্যাধিতে সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ০৭/০৪/২০২০, ল-ন, ইংল্যা-যাদের চোখ ‘ফাঁকি’ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক
দেশে ঢুকতে পারলো, তারা কারা?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়